নিউইয়র্কে থামছে না মৃত্যুমিছিল, হার্ট আইল্যান্ডে গণকবর
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারিতে সর্বোচ্চ আক্রান্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্কে দ্রুতগতিতে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
নিউইয়র্কের একটি গণকবরে একসঙ্গে বহু মানুষকে কবর দেওয়ার একটি ছবি প্রকাশ করেছে রয়টার্স।
রয়টার্স জানায়, নিউইয়র্কের হার্ট আইল্যান্ডের একটি কবরস্থানে ‘হ্যাজমাট’ স্যুট পরা কর্মীদের কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। হার্ট আইল্যান্ডের কবরস্থানটিতে সাধারণত যেসব মৃত ব্যক্তির কোনো আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ পাওয়া যায় না কিংবা যাদের শেষকৃত্যানুষ্ঠানের খরচ দেওয়ার সাধ্য নেই তাদের কবর দেওয়া হয়ে থাকে।
শুক্রবার পর্যন্ত নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৩৭ জন। মারা গেছেন প্রায় ৬ হাজার মানুষ। কেবল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের আক্রান্তের সংখ্যাই অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি।
রয়টার্স বলছে, করোনাভাইরাসের মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে কবর খনন কাজ বেড়ে গেছে। সপ্তাহে একদিনের পরিবর্তে বর্তমানে পাঁচদিন কবর খননের কাজ চলছে। সাধারণত রিকার্স আইল্যান্ডের কারাবন্দীদের দিয়ে কবর খোঁড়ানো হলেও বর্তমানে ঠিকাদাররা এই কাজ করছেন।
নিউইয়র্কের মেয়র বিল ডে ব্ল্যাসিও জানান, সংকট কেটে না যাওয়া পর্যন্ত হয়তো অনেককে ‘অস্থায়ী কবরে’ সমাহিত করতে হতে পারে।
নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসের মহামারির ভয়াবহতাকে নাইন-ইলেভেনের ভয়াবহতার সঙ্গে তুলনা করেছেন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো। তিনি বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।’
গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সর্বোচ্চ দুই লাখ মানুষ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের সদস্য ডা. ফউসি।
শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সামাজিক দূরত্ব ও কঠোর নির্দেশনার মেনে চলার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসবে। সর্বোচ্চ ৬০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করতে পারে।’
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৮৪। মারা গেছেন ১৬ হাজার ৭৩৭ জন।
Comments