করোনায় আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন
নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ ইমতিয়াজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন। শনিবার দুপুরে আইইডিসিআর থেকে পাঠানো তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ জানানো হয়। তিনি জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব। যদিও রিপোর্ট আসার আগে থেকেই তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।
সিভিল সার্জন হিসেবে এখন ভারপ্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো. আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনায় আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসার পর থেকেই তিনি কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এর মধ্যে অসুস্থতা বোধ করলে দুদিন আগে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনিবার আইইডিসিআর থেকে পাঠানো রিপোর্টে পজিটিভ পাওয়া গেছে। তিনি আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে তিনি সুস্থ আছেন।’
উল্লেখ্য এর আগে জেলা করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন সদর উপজেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জায়েদুল ইসলামও করোনায় আক্রান্ত হন। তিনিও আইসোলেশনে রয়েছেন।
এদিকে করোনা আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে নার্স, ওয়ার্ড বয় ও অ্যাম্বুলেন্স চালক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল গত সোমবার রাত থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কয়েকদিন টানা জীবাণুমুক্ত করার পর শনিবার সকাল থেকে আবারও শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। সকাল থেকেই হাসপাতালে রোগীদের উপস্থিতি থাকলেও সংখ্যায় ছিল অনেক কম।
এ বিষয়ে আরএমও আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ক্লোরিন মিশ্রিত পানি ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে হাসপাতালের জরুরি ও বহির্বিভাগসহ সম্পূর্ণ হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। শনিবার থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোগীরা আসছে চিকিৎসা নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এখন থেকে এ হাসপাতালে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ছাড়া এক কথায় করোনার উপসর্গ আছে এমন রোগীদের ছাড়া অন্য সব রোগীদের চিকিৎসা হবে। জ্বর-কাশি-শ্বাসকষ্টের উপসর্গ থাকলে রোগীদের শহরের খানপুর এলাকার ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে। আশা করছি আগামীকাল থেকেই সেখানে চিকিৎসা সেবাও শুরু হবে।
Comments