রাস্তার পাশে মারা গেলেন দিনমজুর, করোনা আতঙ্কে কাছে যায়নি কেউ

ফরিদপুরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাস্তার পাশে সারাদিন পড়ে ছিলেন এক ব্যক্তি। করোনা সন্দেহে তার কাছে যায়নি কেউ। প্রশাসনের উদ্যোগে দীর্ঘসময় পর রাতে যখন তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলো, তখন তিনি মৃত।

ফরিদপুরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাস্তার পাশে সারাদিন পড়ে ছিলেন এক ব্যক্তি। করোনা সন্দেহে তার কাছে যায়নি কেউ। প্রশাসনের উদ্যোগে দীর্ঘসময় পর রাতে যখন তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলো, তখন তিনি মৃত।

ঘটনাটি ফরিদপুরের মধুখালীর। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি দিনমজুর আব্দুস সামাদ মন্ডল (৪৮), বাড়ি ঝিনাইদহে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দিনমজুর সামাদ মধুখালী উপজেলার কামারখালীতে একজনের বাড়িতে কাজ করতেন। ৫/৬দিন আগে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন।

যার বাড়িতে কাজ করতেন গত বৃহস্পতিবার তিনি সামাদকে জ্বর হওয়ায়, বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। শুক্রবার সকালে সামাদ একটি রিক্সা ভ্যানে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রওনা হন। যাওয়ার পথে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কে একটি জুট মিলের পাশে সামাদকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান ভ্যানচালক।

সারাদিন ওখানেই পড়ে ছিলেন সামাদ। ওই পথ দিয়ে অনেকে যাতায়াত করলেও কেউ তার সাহায্যে এগিয়ে যাননি করোনা আক্রান্ত সন্দেহে।

খবর পেয়ে সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তফা মানোয়ার ও মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান সেখানে যান ।

ওসি আমিনুর রহমান বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে আমরা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই।’

মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘জ্বরে আক্রান্ত সামাদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সে নেয়ার সুযোগ ছিল না সতর্কতার কারণে। এ জন্য একটি বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স আনা হয় ফরিদপুর থেকে। এ কারণে একটু বেশি সময় লেগে গেছে।’

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. জুয়েল জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে ওই রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান জানান, শুক্রবার রাতেই সামাদের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে আজ সকালে নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut amid worker unrest along the industrial belts yesterday, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

1h ago