১১ দিনে চাঁদপুরে এসেছেন ২ হাজার মানুষ
চাঁদপুরে করোনা রোধে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যাপক তৎপর হওয়ায় গত ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় একজনও করোনায় আক্রান্তের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
কিন্তু, করোনার ব্যাপারে নৌপুলিশ চাঁদপুরের নৌ-সীমানায় কোনো প্রকার প্রতিরোধের ব্যবস্থা না করায় করোনা আক্রান্ত পার্শ্ববর্তী একটি জেলা থেকে গত ১১ দিনে প্রায় ২ হাজার মানুষ নৌপথে চাঁদপুরের মতলব দিয়ে প্রবেশ করেছেন।
ইতোমধ্যে চাঁদপুরে চার জনের করোনা ধরা পড়েছে।
গতকাল শনিবার চাঁদপুর সদরের রামপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক যুবক তার শশুর বাড়িতে মারা যান। এতে চরমভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে জেলাবাসী।
তবে চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলায় যখন লকডাউন চলছে তখন থেকে চাঁদপুরে লোকজনের প্রবেশের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা হয়। এটি জেলা প্রশাসনের নজরে আসলে তারা তালিকা তৈরি করে। তালিকা অনুয়ায়ী পুরো জেলায় হাজারের বেশি মানুষকে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়।
কিন্তু, এতো ঘটনার পরও নৌপুলিশ কোনোই ব্যবস্থা নেয়নি। অবশেষে তারা চাঁদপুর জেলায় জন-প্রবেশ ঠেকাতে কাজ শুরু করেছে।
চাঁদপুর নৌপুলিশ সুপার মো. জামশেদ আলী বলেন, ‘চাঁদপুর জেলা লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকেই নৌপুলিশ নদী পথে তাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। যাতে অন্য কোনো জেলা থেকে চাঁদপুরে কেউ আর না আসতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আগে থেকে ঘোষণা করা হলে এমনটা হতো না। এখন থেকে চাঁদপুর নদী সীমানায় ও অভ্যন্তরে আমাদের তিনটি লঞ্চ কাজ করবে। এর মধ্যে একটি লঞ্চ চাঁদপুরের লগ্গিমারা চর এলাকায় অবস্থান করবে। আরেকটি পদ্মা-মেঘনা নদীতে টহল দিবে।’
এই সংকট মোকাবেলায় নদীপথের পাশাপাশি স্থলপথেও পাহারা জোরদার করা হবে বলে যোগ করেন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এখনো ঢাকা, নারায়ণঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা থেকে লোকজন চাঁদপুরে প্রবেশ করছে। নৌপুলিশ তাদের প্রবেশ ঠেকাতে কোনো কাজ করছে না।
তবে নৌপুলিশ জাটকা ইলিশ রক্ষায় কাজ করছে বলে জানান স্থানীয়রা।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বাঁচলে ইলিশ খেতে পারবো। এখন নৌপুলিশের উচিত ইলিশ রক্ষার চেয়ে মানুষকে করোনার ছোবল থেকে রক্ষায় কাজ করা।’
একই সঙ্গে কোস্টগার্ডকেও চাঁদপুরবাসীকে করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষায় নদীপথে আরও টহল বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
Comments