অনুশীলনে ফিরছে সোসিয়েদাদ, দ্বিধাবিভক্ত রিয়াল মাদ্রিদ

সোসিয়েদাদের অনুশীলনে ফেরার সংবাদে এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদও। তবে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি তারা।
ফাইল ছবি: এএফপি

ইউরোপে ইতালিকে ছাড়িয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বর্তমানে স্পেনেই সবচেয়ে বেশি। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। তারপরও লা লিগার ক্লাব রিয়াল সোসিয়েদাদ অনুশীলনে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) থেকে মাঠে অনুশীলন করবে দলটি। সোসিয়েদাদের অনুশীলনে ফেরার সংবাদে এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদও। তবে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি তারা।

রোগীর সংখ্যা সর্বোচ্চ হলেও আক্রান্তের হার কিছুটা কমেছে স্পেনে। যে কারণে সরকার অপ্রয়োজনীয় কর্মীদেরও আগামী সোমবার থেকে কাজে ফেরার অনুমতি দিয়েছে। এর আগে কেবল জরুরী কাজে নিয়োজিত লোকজন ছাড়া কারও কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি ছিল না। আর সরকারের নেওয়া এ সিদ্ধান্তের কারণেই অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা বিবেচনা করেছে সোসিয়েদাদ কর্তৃপক্ষ। একই কারণে আলোচনা করছে রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ। তবে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তারা। কেউ অনুশীলনে ফেরার পক্ষে, আবার কেউ বিপক্ষে।

তবে মাঠে অনুশীলনের সিদ্ধান্ত নিলেই তা কোনো খেলোয়াড়ের উপর বাধ্যতামূলকভাবে চাপিয়ে দিচ্ছে না সোসিয়েদাদ কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে ক্লাবটি জানিয়েছে, 'সরকার যখন অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের চাকরিতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে, তাই প্রথম দলের স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের অনুশীলন করার সুযোগও থাকছে। আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকে জুবিয়েতে আমাদের খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাবেন। প্রত্যেক খেলোয়াড়ই সিদ্ধান্ত নেবেন তারা জুবিয়েতে অনুশীলন করবেন না ঘরে অনুশীলন করবেন।'

লা লিগার দলগুলোর মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদই প্রথম কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করে। গত ১২ মার্চ বাস্কেটবলের এক খেলোয়াড় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরই দলের সব খেলোয়াড়দের কোয়ারেন্টিনে পাঠায় তারা। ২৬ মার্চ পর্যন্ত সবধরনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল ক্লাবটির। বর্তমানে ক্লাবের মেডিক্যাল টিমের প্রধান নিকো মিহিচের অধীনে একটি প্রোটোকল করে অনুশীলনের কথা ভাবছে। তবে মাদ্রিদের মতো জায়গায় অনুশীলনে ফিরতে কিছুটা দ্বিধান্বিত তারা। কারণ রাজধানীতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। নিজেদের স্টেডিয়াম সান্তিয়াগো বার্নাব্যু বর্তমানে চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুদের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

তবে এখনও ফুটবল মাঠে গড়ানোর পরিস্থিতিতে আসেনি স্পেনে। যদিও আর্থিক ক্ষতি কমাতে লিগ কর্তৃপক্ষ বিকল্প উপায় ভাবছেন। কিন্তু দুদিন আগে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো কোনো ধরণের ঝুঁকি না নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তাতে কিছুটা শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত মাঠে গড়ালে ফিটনেস নিয়ে ঘাটতি যাতে না থাকে সে চিন্তা করে অনুশীলনে ফেরার চিন্তা করছে ক্লাবগুলো।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago