চাল বিতরণে জেলেদের তালিকা তৈরিতে টাকা দাবির অভিযোগ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জেলেদের বিনামূল্যে চাল বিতরণের তালিকায় নাম লেখাতে উৎকোচের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল খায়ের সবুজের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া, ভুয়া তালিকা ও জেলেদের নাম ব্যবহার করে ভুয়া স্লিপ দিয়ে অন্যদেরকে চাল দেওয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।
মৎস্য অধিদপ্তর থেকে জেলেদের বিনামূল্যে চাল বিতরণে উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে এ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাছ ধরার নিষিদ্ধ মৌসুমে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে জেলেদের প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাস বিনামূল্যে চাল বিতরণ করা হয়। এই কর্মসূচিতে ৭নং ওয়ার্ডের জন্য ছয় মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেখানকার ১০৫ জন জেলের মধ্যে ৭৫ জনকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তালিকায় নাম লেখাতে ৭৫ জনের কাছ থেকেই টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আবুল খায়ের ও তার সহযোগী সাইফুদ্দিন রানার বিরুদ্ধে।
চরহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা জানান, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল খায়ের গোপনে জেলেদের তালিকা তৈরি করে রানার মাধ্যমে প্রতি জেলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় চাল বিতরণ স্থগিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
ইউএনও ফয়সাল আহমেদ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যাবে। প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা জানান, পরিদর্শনকালে ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল খায়েরের স্বাক্ষর ও সিলযুক্ত একটি স্লিপ পাওয়া গেছে। এক জেলের কাছ থেকে ইউপি সদস্যের সহযোগী রানার টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
তবে, রানার দাবি, টাকা নেওয়া হয়েছে একটি সমিতির জন্য। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল খায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি এ ঘটনার সাথে কোন ভাবেই জড়িত নন।
Comments