‘আইডল’ ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে বাটলারের বিব্রতকর প্রথম সাক্ষাৎ
সময়ের অন্যতম সেরা আগ্রাসী ব্যাটসম্যান জস বাটলার। সনাতন থেকে শুরু করে ব্যতিক্রমী, তার আছে সব ধরনের শট খেলার সামর্থ্য। ইংল্যান্ডের এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানকে তাই ‘৩৬০ ডিগ্রি’ খেলোয়াড়ও মানা হয়। মূল তকমাটা অবশ্য এবি ডি ভিলিয়ার্সের গায়ে সাঁটানো। আর মজার ব্যাপার হলো, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকাকে নিজের ‘আইডল’ (আদর্শ) মানেন বাটলার। তবে দুজনার প্রথম সাক্ষাতের বিব্রতকর স্মৃতিটা এখনও বিশ্বজয়ী এই ইংলিশের কাছে হাসির খোরাক।
২৯ বছর বয়সী বাটলার সোমবার শুনিয়েছেন সেই গল্প। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দল রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলা এই ব্যাটার এক পডকাস্টে বলেছেন, বিব্রতকর পরস্থিতিটি তৈরি হয়েছিল তার প্রেমিকার জন্য (বর্তমানে স্ত্রী)। কারণ, তার স্ত্রী লুইস বাটলার ভিলিয়ার্সকে নিউজিল্যান্ডের কোনো ক্রিকেটার ভেবে ভুল করেছিলেন!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে রয়্যালসের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ভিডিওতে বাটলার জানিয়েছেন, ‘তখন আমি মুম্বাইয়ের (ইন্ডিয়ান্স) হয়ে খেলতাম। একদিন ম্যাচ শুরুর আগে তিনি (ভিলিয়ার্স) জানালেন, ম্যাচ শেষে আমার সঙ্গে আড্ডা দিতে চান। আমি খুবই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। আমি ভাবছিলাম, এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে বসে কিছু পান করাটা কী দুর্দান্ত ব্যাপার হবে!’
‘আমি হোটেলে ফিরে আমার বাগদত্তাকে (বর্তমানে স্ত্রী) বললাম যে, আমরা সরাসরি বারে যাচ্ছি। সেখানে এবি ডি ভিলিয়ার্স থাকবেন। এটা অসাধারণ একটা ব্যাপার হতে যাচ্ছে।’
‘আমরা প্রায় মিনিট বিশেক কথা বললাম। আমার খুব ভালো সময় কাটছিল। দারুণ লাগছিল পুরো ব্যাপারটা। আর তার (ভিলিয়ার্স) কথায় আফ্রিকান টানও বেশ ভালোভাবে বোঝা যায়। কিন্তু ২০ মিনিটের মতো পার হওয়ার পর, লুইস (বাটলারের স্ত্রী) তাকে জিজ্ঞেস করেছিল, “আপনি নিউজিল্যান্ডের কোন অংশে থাকেন?” আর আমি তখন যেন লজ্জায় মারা যেতে চাইছিলাম’, হাসতে হাসতে বলেছেন বাটলার।
গেল বছর ঘরের মাটিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতে ইংল্যান্ড। লর্ডসে অনুষ্ঠিত হওয়া রোমাঞ্চকর ফাইনালে সুপার ওভারের শেষ বলে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিলকে রানআউট করে দলকে বিশ্ব জয়ের আনন্দে ভাসিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো বাটলার। থ্রি লায়ন্সদের হয়ে ৪১ টেস্ট, ১৪২ ওয়ানডে ও ৬৯ টি-টোয়েন্টি খেলা এই তারকা ভিলিয়ার্সকে নিজের আদর্শ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, ‘(ক্রিকেটার হিসেবে) বেড়ে ওঠার পথে ডি ভিলিয়ার্স আমার আইডল। তার খেলা দেখতে আমি ভালোবাসি। তিনি অসাধারণ।’
Comments