করোনাভাইরাস

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধসের আশঙ্কা আইএমএফের

বিশ্বব্যাংকের পর আইএমএফ চলতি বছরে করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধসের আশংকা প্রকাশ করেছে।
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাংকের পর আইএমএফ চলতি বছরে করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধসের আশংকা প্রকাশ করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত আইএমএফ এর বিশ্ব অর্থনৈতিক পুর্বাভাষে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০২০ সালে মাত্র ২ শতাংশ হবে বলে প্রক্ষেপণ করেছে, যেটা তাদের আগের প্রক্ষেপণে ছিল ৭ শতাংশের কাছাকাছি।

তবে সংস্থাটি ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধি উচ্চমাত্রায় অর্থাৎ ৯ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে পূর্বভাষ দিয়েছে।

এর আগে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ হতে পারে বলে প্রাক্কলন করে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংক ওয়াশিংটন সদরদপ্তর থেকে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া আটটি দেশের ওপর এ প্রাক্কলন প্রকাশ করে।

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্থাৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গত অর্থ বছরে ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

এই বৈশ্বিক ঋণদান সংস্থার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুধু এ বছর নয় বাংলাদেশে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরও কমে দাঁড়াবে ১ দশমিক ২ থেকে ২ দশমিক ৯ শতাংশে। আর তা পরের অর্থবছর ২০২১-২০২২ একটু ঘুরে দাঁড়ালেও ৪ শতাংশে নিচেই থাকবে।

এ পুর্বাভাস এমন এক সময়ে দেওয়া হলো যখন বাংলাদেশ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে টানা ৭ শতাংশের প্রবৃদ্ধির কোঠা ছাড়িয়ে ৮ শতাংশের ঘর টপকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে শুরু করেছিল।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মনে করেন এই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমপক্ষে ৬ শতাংশ হবে।

তবে বিশ্ববযাংকের প্রাক্কলন অনুযায়ী করোনাভাইরাসের ধাক্কায় দক্ষিণ এশিয়ার অন্য সাতটি দেশের অর্থনীতিতে বড় রকমের ধস নামতে পারে। এর মধ্যে পাকিস্তান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের জিডিপি বাড়বে না বরং সর্বোচ্চ ১৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

বিশ্বব্যাংক এক বিবৃতিতে বলেছে, কোভিড-১৯ মহামারি দ্বারা ক্রমবর্ধমান মানবিক ক্ষতি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিণতির মধ্যে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য সরকারকে স্বাস্থ্যখাতে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের জনগণ, বিশেষত দরিদ্রতম এবং হতদরিদ্র মানুষকে রক্ষা করতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

বিশ্বব্যাংক বলেছে দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের প্রতিটি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেওয়া, বাণিজ্যিক ব্যবস্থ ভেঙে পড়া এবং আর্থিক ও ব্যাংকিং খাতে আরও বেশি চাপের কারণে তীব্র অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি।

এই দ্রুত পরিবর্তনশীল ও অনিশ্চিত অবস্হা প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে পূর্বাভাস উপস্থাপন করা হয়েছে, ২০২০ সালে আঞ্চলিক বৃদ্ধি ১ দশমিক ৮ থেকে ২ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে নেমে আসবে, যা ছয় মাস আগে প্রত্যাশিত ছিল ৬ দশমিক ৩, গত ৪০ বছরে মধ্যে এই অঞ্চলের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago