করোনায় দেশে আরও ৪ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২১৯
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও চার জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫০। এ ছাড়া, নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ২১৯ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ২৩১ জনে দাঁড়িয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮৬৮ জনের নমুনা। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১৯ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ১ হাজার ২৩১ জন। মারা গেছেন আরও চার জন। এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৫০ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন আরও সাত জন। এ নিয়ে সর্বমোট সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ৪৯।
করোনা পরীক্ষায় সারা দেশে ২০টি ল্যাব চালু করা হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে পরীক্ষা করাতে চান না, পরীক্ষা থেকে দূরে থাকেন। এটা একটা বিরাট সংকট। আপনি নিজেও আক্রান্ত হবেন, পরিবারকে আক্রান্ত করবেন এবং চিকিৎসককেও আক্রান্ত করবেন। এ জন্য আপনারা নিজেরা টেস্ট করুন, নিজে ভালো থাকুন এবং সবাইকে ভালো রাখুন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি করোনার পরিস্থিতি, রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। সে চিন্তা মাথায় নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে বসুন্ধরার কনভেনশন সেন্টারে ২ হাজার বেড প্রস্তুত করছি। আগামী অল্পদিনে প্রস্তুত হয়ে যাবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও ১ হাজার ৩০০ বেড প্রস্তুতে কাজ চলছে। দিয়াবাড়িতেও বহুতল চারটি ভবনে আমরা ১ হাজার ২০০ বেডের প্রস্তুতি নিচ্ছি। মোট সাড়ে চার হাজার বেডের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
‘করোনা রোগী যেহেতু বেড়ে যাচ্ছে, এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আরও কিছু নতুন হাসপাতাল সংযোজন করছি। যার মধ্যে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে আমরা পরবর্তীকালে নেবো। মেডিকেল কলেজের পুরনো বার্ন ইউনিট আমরা নেবো। নগর হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতালও প্রস্তুত রেখেছি। সব বিভাগীয় শহরে ২০০ বেডের আইসিইউসহ হাসপাতাল প্রস্তুত রেখেছি। সব জেলা শহরে ৫০-১০০ বেডের কোভিড হাসপাতাল আমরা প্রস্তুত রেখেছি’, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বেশকিছু এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ, মিরপুর, বাসাবো, নতুন করে গাজীপুর, ময়মনসিংহ এবং কেরানীগঞ্জ— এ এলাকাতে আরও বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। আমাদেরকে সেখানে লকডাউন আরও বেশি কঠিন করতে হবে। আমরা লক্ষ্য করি— জনগণ বাইরে ঘোরাফেরা করে, বাজারে ঘোরাফেরা করে এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘোরাফেরা করে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করবো— আপনারা বাড়িতে থাকবেন। বেশি বাইরে ঘোরাফেরা করলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাবে এবং আমাদের চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। ইউরোপ-আমেরিকাতে দেখেন, চিকিৎসা দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। সে পরিস্থিতিতে আমরা যেতে চাইনা। আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন— আপনারা ঘরে থাকুন, ভালো থাকুন, বাইরে গেলে মাস্ক পরুন, হাত ধোন, হাত ধুয়ে কাজকর্ম করুন এবং লকডাউন মেনে চলুন। লকডাউন বারেবারে দেওয়া সম্ভব নয়। এটা আমাদের ভেবে দেখার বিষয় আছে।’
আরও পড়ুন:
Comments