বগুড়ায় বৃষ্টিতে ভেসে গেছে সামাজিক দূরত্বের বাজার, ‘ক্ষতিপূরণ পাবে না’

বগুড়ায় বৃষ্টিতে ভেসে গেছে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে গড়ে তোলা অস্থায়ী বাজার। বুধবার শহরের সবচেয়ে বড় অস্থায়ী বাজার আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠটি বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়।
বগুড়ায় বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে গড়ে তোলা অস্থায়ী বাজার আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠ। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় বৃষ্টিতে ভেসে গেছে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে গড়ে তোলা অস্থায়ী বাজার। বুধবার শহরের সবচেয়ে বড় অস্থায়ী বাজার আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠটি বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়।  

এতে প্রায় ২০০ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাজার সংশ্লিষ্টরা।

কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না জানিয়ে বাজারগুলোকে আবার তাদের আগের জায়গায় ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।  

করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে বগুড়ায় বড় বাজারগুলোকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খেলার মাঠে স্থানান্তর করা হয় গত রোববার থেকে।

বিক্রেতাদের অভিযোগ, বৃষ্টি থেকে মালামাল রক্ষায় মাঠে কোনো ব্যবস্থাই রাখেনি কর্তৃপক্ষ।

অস্থায়ী বাজারের সবজি বিক্রেতা খয়বর বলেন, ‘বৃষ্টি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠ পানিতে ডুবে যায়। সবজি তুলে রাখার কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। আমরা তো দিন আনি, দিন খাই! বড় ক্ষতি হয়ে গেল।’

এক তরমুজ ব্যবসায়ী বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন দোকানের মাল ভেসে গেছে, ডুবে গেছে। বৃষ্টি থেকে মালামাল রক্ষার কোনো ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। অনেকের ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন কে এই ক্ষতিপূরণ দেবে?’

রাজাবাজার আরতদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল কুমার প্রসাদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তে প্রায় ১৯০ জন সবজি ও কাঁচাবাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা শহরের তিনটি বড় বাজার, ফতেআলি, রেলওয়ে বাজার এবং রাজা বাজার থেকে উঠে এসে শহরের আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে বেচা-কেনা শুরু করে। কিন্তু আজ সকালে বৃষ্টির পানিতে তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি।’

দোকানদারদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক জানান, তাদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। তারা নিজেরাই তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। সেই সাথে দোকানগুলোকে আবার আগের বড় বড় বাজারে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

‘বাজারে ভিড় কমাতে প্রতিদিন অর্ধেক বাজার খোলা রাখা হবে। এক্ষেত্রে রেশনিং/ রোস্টার অনুযায়ী একদিনের জন্য অর্ধেক দোকান খোলা রাখা হবে, অর্ধেক বন্ধ থাকবে। পরের দিন বন্ধ দোকানদাররা তাদের দোকান খুলবে বলেন’, জেলা প্রশাসক।

 

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago