ত্রাণের গাড়ি আটকে দিলেন কর্মহীন নারীরা
ত্রাণের দাবিতে রাণীশংকৈল উপজেলা ফটকে ত্রাণের গাড়ি আটকে দেন করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া শতাধিক নারী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদার আশ্বাসে বিক্ষুব্ধ নারীরা সেখান থেকে সরে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাণীশংকৈল পৌরসভায় বসবাসরত কর্মহীন হয়ে পড়া শতাধিক নারী সরকারি আশ্বাস সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত সহযোগিতা পাননি। তাই বিক্ষুব্ধ হয়ে ত্রাণের গাড়ি আটকে দেয়।
পৌরসভার সন্ধারাই এলাকার বাসিন্দা রিনা বেগম (৩২) বলেন, ‘একটি ছোট চায়ের দোকানের উপর নির্ভর করেই আমার সংসার চলত। গত মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দোকানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সন্তানাদি নিয় খুব অসহায় হয়ে পড়েছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। নিরুপায় হয়ে আজ উপজেলায় এসেছি।’
বিক্ষুব্ধদের একজন বিধবা ফুলবানু (৪০) একই পৌরসভার নয়নপুরের বাসিন্দা (কলোনি)। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন ধরে কাজ কর্ম না থাকায় খুব সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। আমাদের সামনে দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ যায়। কিন্তু, আমাদের ভাগ্যে জোটে না। কাজও বন্ধ, কবে শুরু হবে তাও ঠিক নেই। এ অবস্থায় সরকারি সহযোগিতা ছাড়া আমরা কীভাবে চলব।’
একই কথা বলেন অন্য নারীরাও।
পৌর মেয়র আলমগীর সরকার মুঠোফোনে বলেন, ‘এ যাবত ১২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। তা ইতোমধ্যে সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করা হয়েছে। পরবর্তী বরাদ্দ পেলে আবারও তালিকা করে বন্টণ করা হবে।’
ইউএনও মৌসুমী আফরিদা বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত ত্রাণ বিতরণ করছি। আজ যে নারীরা ত্রাণের দাবি জানিয়েছেন তাদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। শিগগির তাদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করা হবে।’
Comments