টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পেছানোর প্রস্তাব উঠল খোদ অস্ট্রেলিয়াতেই
করোনাভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে গোটা বিশ্ব কবে মুক্তি পাবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই চলমান সংকট আরও দীর্ঘস্থায়ী হলে পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এমন প্রস্তাব উঠেছে খোদ আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়াতেই।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইসপিএনক্রিকইনফো শুক্রবার জানিয়েছে, বৈশ্বিক মহামারির কারণে যদি আসরটি নির্ধারিত সূচিতে আয়োজন করা সম্ভব না হয়, তবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে তা মাঠে গড়াতে পারে বলে মনে করছেন সাবেক অজি তারকা ব্যাটসম্যান সাইমন ক্যাটিচ।
সূচি অনুসারে, এই বছরের ১৮ অক্টোবর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আর আসরের পর্দা নামবে আগামী ১৫ নভেম্বর। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে জেগেছে জোরালো শঙ্কা।
বিকল্প সূচি প্রসঙ্গে ক্যাটিচ স্থানীয় একটি রেডিও স্টেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আগামী গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে (ফেব্রুয়ারি) এটি (বিশ্বকাপ) আয়োজন করার সুযোগ রয়েছে। যে সময়ে এ বছর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছে। সবকিছু নতুন করে বিন্যস্ত করার সুযোগও রয়েছে। এই মুহূর্তে এমন কিছু নিয়ে আলোচনা চলছে কি-না (আইসিসি ও আয়োজকদের মধ্যে) এবং লজিস্টিকভাবে ও ভবিষ্যৎ সফর সূচি অনুসারে তা করা সম্ভব কি-না তা জানতে পারলে দারুণ হবে।’
কোভিড-১৯ রোগে বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২২ লাখ মানুষ, মারা গেছেন ১ লাখ ৪৭ হাজারেরও বেশি। অস্ট্রেলিয়াতে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে সাড়ে ৬ হাজারে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ জনে।
এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মাঝেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নির্ধারিত সময়ে আয়োজন করার সিদ্ধান্তে অনড় আইসিসি। গেল মাসে একটি বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
করোনাভাইরাসের কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এর পরপরই গুঞ্জন উঠেছে, এবারের আসরটি আয়োজন হতে পারে অন্য কোথাও। বিকল্প আয়োজক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার নাম উঠে এসেছে। আর এরই মধ্যে নিজেদের মাটিতে আইপিএল আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)।
ভারতের বাইরে আইপিএল অনুষ্ঠিত হলে তা উপভোগ করবেন বলে মন্তব্য করেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কোচ ক্যাটিচ, ‘আমার মনে হয়, আমরাসহ আরও বেশ কয়েকটি দল বাইরের মাঠে খেলার বিষয়টি পছন্দ করবে। কারণ, আমাদের বেশ কয়েকজন অস্ট্রেলিয়ান ও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার আছেন, যারা অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে খেলতে উপভোগ করেন।’
Comments