করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম কি-না জানি না: ডে ব্রুইনা

প্রায় দুই সপ্তাহের মতো অসুস্থ ছিলেন কেভিন ডে ব্রুইনা। বর্তমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে তাই একটি প্রশ্নই উঠে আসে। তিনিও কি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন?
kevin de bruyne
ছবি: এএফপি

প্রায় দুই সপ্তাহের মতো অসুস্থ ছিলেন কেভিন ডে ব্রুইনা। বর্তমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে তাই একটি প্রশ্নই উঠে আসে। তিনিও কি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন? উত্তরে ম্যানচেস্টার সিটির এই বেলজিয়ান মিডফিল্ডার বলেছেন, শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছিল কি-না তা তিনি জানেন না।

কেবল ২৮ বছর বয়সী ডে ব্রুইনা একা নন, তার গোটা পরিবারই অসুস্থ ছিল দুই সপ্তাহ ধরে। তবে আশার কথা হলো, সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করেছেন তারা। শুক্রবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুসংবাদ দিয়েছেন এই তারকা ফুটবলার, ‘সত্যি কথা বলতে গেলে, আমি এখন বেশ ভালো আছি।’

‘আমার গোটা পরিবার প্রায় দুই সপ্তাহ অসুস্থ ছিল। তাই অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে। তবে এখন তারা সবাই প্রায় সুস্থ। আমাদের করোনা হয়েছিল কি-না তা আমরা জানি না। তবে আমরা এখন বেশ ভালো আছি।’

অসুস্থ থাকার সময়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে ডে ব্রুইনা জানিয়েছেন, ‘ওই দুই সপ্তাহে সবকিছু কেমন যেন অদ্ভুত ছিল। কী ঘটছে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।’

ধীরে ধীরে অবশ্য স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ডে ব্রুইনার শারীরিক পরিস্থিতি। বেলজিয়ামকে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান পাইয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা মাঝমাঠের এই সেনানী বলেছেন, ‘এরপর আমি ট্রেডমিলে দৌড়ানো শুরু করেছি। তারপর অল্প অল্প সাঁতার কেটেছি। ভাগ্য ভালো যে আমার বাসার নিচে সুইমিংপুল আছে।… প্রতিদিন আমি মূলত দৌড়াচ্ছি আর সাঁতার কাটা বা অন্য কোনো অনুশীলনের একটা বেছে নিচ্ছি। নিজে নিজে যা করা সম্ভব, আমি বেশ ভালোভাবেই তা করছি।’

করোনাভাইরাসের কারণে গৃহবন্দি থাকা অবস্থাতেও ফুটবলাররা যেন ফিটনেস ঠিক রাখেন, সেজন্য ম্যান সিটির ট্রেনার ও ফিজিওরা বড় আকারের অনুশীলন সূচি পাঠাচ্ছেন তাদের কাছে। তবে এসবে খুব বেশি আগ্রহ নেই ডে ব্রুইনের, ‘আমি একা একা অনুশীলন করে বিরক্ত হয়ে পড়ি। তাই আমি দৌড়াতে পছন্দ করি। আর বিভিন্ন পডকাস্ট শুনছি।’

Comments

The Daily Star  | English
power outage in rural areas

Power outages on the rise again

Power cuts are getting more frequent as power generation has failed to keep up with the high demand caused by the rising mercury.

9h ago