বইয়ের নেশায় সময় পার বিশ্বকাপ জেতা সাকিবের

নারীবিদ্বেষী পোস্টের দায় নিলেন তানজিম

হাবিবুল বাশার সুমন একবার আফসোস করে বলছিলেন, ‘বই পড়ার ব্যাপারটা এখন উঠেই গেছে, তাই না? অথচ, আগে বিদেশে সিরিজ হলেই ফাঁকা সময় কাটানোর জন্য নিয়ে যেতাম বই। এখনকার কারও তেমন ইচ্ছা আছে বলে মনে হয় না।’ ক্রিকেটাররা দূরে থাক, আসলে সাধারণ মানুষদেরও পড়ার অভ্যাসটা গ্রাস করে নিয়েছে ইলেক্ট্রনিক গেজেট। এদিক থেকে ব্যতিক্রম যুব বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশের পেসার তানজিম হাসান সাকিব। করোনাভাইরাসের দমবন্ধ পরিস্থিতিতে ফিটনেস ঠিক রাখার পাশাপাশি বই পড়েই সময় কাটছে তার।

এবারের যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ডানহাতি সাকিবের দেখানো তেজ মনে থাকার কথা অনেকের। বাঁহাতি শরিফুল ইসলামের সঙ্গে জুটি বেঁধে আগুন ঝরা স্পেলে ভারতীয়দের কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তার শরীরী ভাষায়ও আগামীর সম্ভাবনাময় পেসারের খোঁজ মিলেছে।

করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণের আগে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ব্যস্ত ছিলেন এই পেসার। খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছুটে যান বাড়িতে।  ক্রিকেটীয় ব্যস্ততার কারণে গত সাড়ে তিন বছরের টানা ১০ দিনের বেশি বাড়িতে থাকা হয়নি সাকিবের। এবার সিলেটের বালাগঞ্জের ত্রিলক চানঁপুরের বাড়িতে ২৫ দিন ধরে আছেন তিনি। এতটা সময় বাড়িতে আটকে থাকায় হাঁসফাঁস করছেন অনেকেই। তবে সাকিব এদিক থেকে আছেন বেশ ভালোই।

মূলত সাকিবের বাবার সংগ্রহে আছে প্রচুর বই। ছোটবেলা থেকেই তাই বই পড়ার নেশা গড়ে ওঠে তার। আর এখন প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদে মগ্ন হয়ে আছেন তিনি। মুঠোফোনে জানালেন, বই পড়ার ফুরসত মেলায় সময়টা যাচ্ছে বেশ ভালো, ‘গল্পের অনেক বই পড়ি আমি। হুমায়ূন আহমেদ আমার প্রিয় লেখক। হিমু চরিত্র আমার প্রিয়, এছাড়া মিসির আলিকেও খুব ভালো লাগে। এক হিসেবে বই পড়ার জন্য সময়টা বেশ ভালো পাওয়া গেছে। জমানো বইগুলো পড়ে কাজে লাগাচ্ছি।’

খেলার ফাঁকে পড়বেন বলে মাঝে মাঝেই বই কিনে রাখতেন সাকিব। কিন্তু এতটা ঠাসা সূচির কারণে সময় বের করা হয়ে উঠত মুশকিল। করোনার ফলে সৃষ্ট অচলাবস্থায় জমানো বইগুলো এখন তার কাছে যেন আশীর্বাদ, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার এই অভ্যাস। কিন্তু খেলা থাকায় সময় হচ্ছিল না, তাই পড়াও হতো না। আগে কিনে রেখেছিলাম কিন্তু পড়তে পারিনি, সেগুলো শেষ করছি এখন।’

‘আমার আব্বুর প্রচুর বই পড়ার নেশা। অন্য লেখকের নাম নির্দিষ্টভাবে বলছি না। যার বই সামনে পাই, পড়ি।’

বাহুতে কিছুটা চোট ছিল। তা কাটানোর জন্যও আদর্শ সময় মিলেছে সাকিবের। ট্রেনার রিচার্ড স্টনিয়ার সামাজিক মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে হাজির হয়ে নিচ্ছেন সেশন। তার দেওয়া কিছু ড্রিল মেনে চলছে সাকিবের ফিটনেস ঠিক রাখার কাজ।

কিন্তু থমকে যাওয়া এই সময়টা আরও বাড়লে কী হবে? সেই অনিশ্চয়তাও খেলা করছে সাকিবের মনে, ‘এখন পর্যন্ত ভালো আছি, জানি না পরে কী হবে, কবে সব স্বাভাবিক হবে!’

Comments

The Daily Star  | English

More than 290 killed in Air India plane crash: police

It’s the first Dreamliner crash since its 2011 commercial debut, says Aviation Safety Network

7h ago