ছাত্রলীগ কর্মীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার সুযোগে বাড়িতে প্রতিপক্ষের হামলা!

ছাত্রলীগের এক কর্মীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ নিয়ে তার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে সংগঠনের ভেতরের তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।

ছাত্রলীগের এক কর্মীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ নিয়ে তার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে সংগঠনের ভেতরের তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।

ওই ছাত্রলীগ কর্মীর পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে করোনাভাইরাসকে ইস্যু করে বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ছাত্রলীগের ভুক্তভোগী ওই কর্মী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তিনি ওই ছাত্রলীগ কর্মীর আরোগ্য কামনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন কিছুদিন আগে।

তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি এবং থানাতেও কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সীতাকুণ্ডের বিআইটিআইডি থেকে পরীক্ষায় ছাত্রলীগ কর্মীসহ সেখানকার পাঁচ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। গুরুতর উপসর্গ না থাকায় তাদেরকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সেই ছাত্রলীগ কর্মীর নামে গুজব রটায় বিরোধী পক্ষ।

ঢেমশা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরমান আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘স্থানীয় একটি পক্ষ তাদের বিপক্ষে নানান কথা ছড়াচ্ছিল। ওরা বলছিল এদের এখানে রাখলে অন্যরাও সংক্রমিত হবে।’

‘এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধায় তাদেরকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়। তাদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চলে গেলে ওই ছাত্রলীগ কর্মীর মা রাস্তায় বসে আহাজারি এবং গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে চিৎকার করছিলেন।’

ফরমান আরও বলেন, ‘আমি বাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ চেচামেচি শুনে বাইরে এলে দেখি ২০ থেকে ৩০ জন লোক সেই ছাত্রলীগ কর্মীর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে আছেন। তারা টিনের বেড়া ও জানালার কাচ ভাংচুর করে চলে যায়।’

ছাত্রলীগ কর্মীর বাবা বলেন, ‘হামলাকারীদের মধ্যে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন ছিল। এমনকি তারা আমাকে মারধরের চেষ্টা চালায়। আমার ছেলের সঙ্গে যাদের কোন্দল ছিল তারাই করোনা ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’

এ ব্যাপারে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আজিম জানান, ‘ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই। তবে দুই পক্ষই একে অন্যের পরিচিত।’

‘আমরা সেখানে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তিন-চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেই পাঁচ জনের পরিবার ছেলেদেরকে আমারদের সঙ্গে যেতে দিতে চাইছিল না। স্থানীয়দের সাথে তখন হালকা কথা কাটাকাটি হয়।’

উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর গত ১৫ এপ্রিল সাতকানিয়া উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka dwellers continues to deplete at a dramatic rate and may disappear far below the ground.

7h ago