সাভারে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগ

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সাভারে ইউএনওর গঠন করা তহবিলে অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে দৈনিক যুগান্তরের সাভার প্রতিনিধি মতিউর রহমান ভান্ডারিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবের বিরুদ্ধে।
সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সাভারে ইউএনওর গঠন করা তহবিলে অনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে দৈনিক যুগান্তরের সাভার প্রতিনিধি মতিউর রহমান ভান্ডারিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবের বিরুদ্ধে।

চেয়ারম্যান রাজীব সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় মতিউর শনিবার সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক মতিউরের মুঠোফোনে কল করে এই হুমকি দেওয়া হয়। হুমকি দেওয়ার অডিও রেকর্ড দ্য ডেইলি স্টার এর হাতে এসেছে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সায়েম মোল্লা ফোন দিয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান তার সঙ্গে কথা বলবেন। চেয়ারম্যানকে নিজের পরিচয় দিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘আমার ইউএনও চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে কিসের ভিত্তিতে তুমি লিখেছ? আমিও পত্রিকা চালিয়েছি কিছুকাল। কবে আসছো সাভারে, ভিসা কার কাছ থেকে নিয়েছো তুমি? এত খোঁচাইয়ো না, উপজেলা পরিষদে কিন্তু মঞ্জুরুল আলম রাজীব বসে থাকে। বেশি বাড়াবাড়ি কইরো না।’

সাংবাদিক মতিউরকে শাসিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তুমি কত বড় সাংবাদিক হয়েছ যে সাভারের নির্বাহী অফিসারকে প্রশ্ন করো? এটা কুড়িগ্রামের ইউএনও পাও নাই। তোমার পেছনে আজকে থেকে মনে করবা আবার অন্য ধরনের কিছু সাংবাদিক ঘুরবে। তোমার সম্পাদককে বইলা রাখো তুমি।’

সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার ব্যাপারে জানতে উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সাংবাদিক মতিউর দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। চেয়ারম্যানের লোকজন যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে। সাভার মডেল থানায় এ ব্যাপারে তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago