করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়: সিভিল সার্জন

লকডাউন নির্দেশনা অমান্য করে খেলাফতে মজলিশের নায়েবে আমীর যুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজায় গণজমায়েতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জানাজায় গণজমায়েত। ছবি: স্টার

লকডাউন নির্দেশনা অমান্য করে খেলাফতে মজলিশের নায়েবে আমীর যুবায়ের আহমেদ আনসারীর জানাজায় গণজমায়েতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।  

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে ছড়ায়। বিশ্বের কোথাও এর কোনও ওষুধ নেই। এ অবস্থায় গণজমায়েত হলে এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। গত শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে অনুষ্ঠিত জানাজায় যে গণজমায়েত হলো, এজন্য এই জেলায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেল।’

শনিবার রাতে জেলা প্রশাসন ওই এলাকার আটটি গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

জানাজায় লোক সমাগমের পর স্থানীয় লোকজনের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেড়তলা গ্রামের একজন শিক্ষক বলেন, ‘সারা বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে এত বিপুল সংখ্যক লোক সমাগমের দায় কে নেবে? এই মানুষগুলোর মধ্যে দু-চারজনের শরীরেও যদি করোনাভাইরাস থাকে তাহলে কী পরিণতি হতে পারে, আমরা চিন্তা করতে পারি না।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সচেতন নাগরিক কমিটির সহসভাপতি আবদুন নূর বলেন, ‘এত লোক সমাগমে অবশ্যই প্রশাসনের ব্যর্থতা রয়েছে। তারা যদি আরো সক্রিয় হতো তাহলে এত ব্যাপক সমাগম ঘটতো না। এখন এটা খুবই শঙ্কার বিষয় যে, এখান থেকে কত জেলায় সংক্রমণ ঘটবে তা কেউ বলতে পারে না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শান্তিনগর, সীতাহরণ, বড়ইবাড়ি ও বেড়তলা গ্রাম এবং আশুগঞ্জ উপজেলার খড়িয়ালা, বগইর ও মৈশাইর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মালিহাতা গ্রামের মানুষকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

লোক সমাগম ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদৎ হোসেন টিটু, সরাইল সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মাসুদ রানা এবং সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূরুল হককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ইকবাল হোসেনকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago