স্বেচ্ছায় ৪ মাসের বেতন ছাড়লেন রোমার কোচ-খেলোয়াড়রা

করোনাভাইরাসের কারণে খেলা বন্ধ থাকায় আর্থিক ঘাটতি কমাতে প্রায় সব জায়ান্ট দলগুলোই খেলোয়াড়দের বেতনে কাটছাঁট করছে। এ নিয়ে ক্লাব এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে দর-কষাকষিও হচ্ছে। তবে এর মধ্যেই অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ইতালিয়ান ক্লাব এএস রোমার খেলোয়াড়রা। স্বেচ্ছায় আগামী চার মাস বেতনের এক টাকাও না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্লাবের কোচ-খেলোয়াড়রা।
ফাইল ছবি: এএফপি

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ফুটবল বন্ধ থাকায় আর্থিক ঘাটতি কমাতে প্রায় সব জায়ান্ট দলগুলোই খেলোয়াড়দের বেতনে কাটছাঁট করছে। এ নিয়ে অনেক ক্লাব এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে দর-কষাকষিও হচ্ছে। তবে এর মধ্যেই অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ইতালিয়ান ক্লাব এএস রোমার কোচ ও খেলোয়াড়রা। স্বেচ্ছায় আগামী চার মাস বেতনের এক টাকাও না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

অন্যান্য ক্লাবের মতো নন-প্লেয়িং স্টাফদের বেতন-ভাতা দিতে নিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রোমার কোচ-খেলোয়াড়রা। খেলা বন্ধ হওয়ার পর আর্থিক ভারসাম্য রক্ষা করতে নন-প্লেয়িং স্টাফদের বেতন ইতালিয়ান সরকারের সেফটি স্কিমের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছিল। তবে খেলোয়াড়দের বেতন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে সরকারী সহায়তা ছাড়াই বেতন পরিশোধ করতে পারবে ক্লাবটি।

রোববার (১৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে রোমা জানিয়েছে, 'করোনাভাইরাসের কারণে ক্লাবের আর্থিক সংকট নিরসনে প্রথম দলের সকল খেলোয়াড় এবং কোচ পাওলো ফনসেকা তাদের চার মাসের বেতন স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিয়েছেন। ক্লাবের যেসব কর্মচারীরা বর্তমানে সরকারী স্কিমের আওতায় বেতনভুক্ত আছেন, তাদের পূর্ণ বেতন নিশ্চিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।'

আর খেলোয়াড়দের স্বেচ্ছায় বেতন ছাড় দেওয়ায় দারুণ খুশি ক্লাবটির প্রধান নির্বাহী গুইদো ফিয়েঙ্গা, 'আমরা সবসময় একতার কথা বলি। খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাদের মৌসুমের বেতন ছাড়ে আমরা সবাই প্রমাণ করেছি, আমরা একসঙ্গে আছি। এডেন জেকো (অধিনায়ক), সকল খেলোয়াড় এবং পাওলো ফনসেকা (কোচ) ক্লাবের বর্তমান সংকটের বিষয়টি অনুধাবন করেছেন। আমরা ক্লাবের সকল অসাধারণ ব্যক্তিত্বদের তার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'

এর আগে সিরি আয় চার মাসের বেতন ছাড় দিয়েছে জায়ান্ট ক্লাব জুভেন্টাসের খেলোয়াড়-কোচরাও। এছাড়া ক্যালিয়ারি এবং পার্মার খেলোয়াড়রাও বেতনের নির্দিষ্ট অংশ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

করোনাভাইরাসের কারণে গত ৯ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে সিরি আ। ইতালির বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও মৌসুম পুনরায় কবে শুরু হবে তা এখনও অনিশ্চিত।

Comments