মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সবাইকে প্রণোদনা দিতে এডিবির সহায়তা কামনা

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে জনপ্রশাসনের যারা মাঠ পর্যায়ে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দায়িত্ব পালন করছেন তাদের প্রণোদনা দিতে ১০ কোটি ডলার বা প্রায় ৯০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ সহায়তা চেয়েছেন।

আজ সোমবার অর্থমন্ত্রী তার বাসা থেকে ম্যানিলায় এডিবির সদরদপ্তরে সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট মাতাসাসুগু আসাকাওয়ার সঙ্গে টেলিকনফারেন্সে এ সহায়তা চান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ফ্রন্টলাইন কর্মীদের (চিকিৎসা কর্মী, সিভিল প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্রদানকারী সংস্থার) জন্য ১০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে চাকরি হারানো দেশি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এবং অতি-ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প খাতের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন।’

‘করোনার প্রভাবে আমাদের আমদানি-রপ্তানির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে বেশিরভাগ দেশে প্রবাসী ভাইবোনেরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। স্থবিরতা নেমে এসেছে রেমিটেন্স প্রবাহে,’ যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।

‘এই সংকটময় পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার জন্য আমরা অবশ্যই এডিবিকে অবিরাম সমর্থন ও সহায়তার জন্য অনুরোধ করছি। এই ক্রান্তিকালে এডিবির তৎক্ষণিক সহায়তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতে আমাদের প্রয়োজন এর চেয়ে আরর অনেক বেশি।’

বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে এডিবির বৃহত্তর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে অনুরোধ করে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের উপর করোনার বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার জন্য এডিবি থেকে বর্ধিত প্রকল্প সহায়তা দরকার।’

অর্থমন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এডিবি প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের উল্লিখিত খাতগুলোতে আর্থিক সহায়তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করে বাংলাদেশকে যথাসময়ে অবহিত করবেন।