আউশ উৎপাদন বাড়াতে পটুয়াখালীতে কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ
করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পটুয়াখালী জেলার ১৫ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। আউশ মৌসুমে প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে এসব কৃষিসামগ্রী বিতরণের ফলে নিবিড় ফসল উৎপাদনের আওতায় জেলায় প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন আউশ চাল উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গত এক সপ্তাহ ধরে কয়েক দফায় প্রত্যেক কৃষককে পাঁচ কেজি আউশ বীজ, ২০ কেজি ডাই অ্যামুনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার ও ১০ কেজি মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার বিতরণ করা হয়েছে।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, আউশ প্রণোদনা হিসেবে জেলায় ১৫ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। সদর উপজেলার এক হাজার ৬০০ কৃষক, বাউফলে দুই হাজার ৭০০ কৃষক, গলাচিপায় দুই হাজার ৭০০ কৃষক, কলাপাড়ায় এক হাজার ৬০০ কৃষক, দশমিনায় এক হাজার ৫০০ কৃষক, মির্জাগঞ্জে তিন হাজার ১০০ কৃষক, রাঙ্গাবালীতে এক হাজার ২০০ কৃষক ও দুমকিতে ৬০০ কৃষকের মাঝে এই প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর জেলায় মোট ৩৭ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার ৬৯০ হেক্টর স্থানীয় জাতের ও ৩৫ হাজার ১৬০ হেক্টর উফশী জাতের আউশ। স্থানীয় জাতের চার হাজার ৩৫ মেট্রিক টন ও উফশী ৯৫ হাজার ২৮৬ মেট্রিক টনসহ মোট চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৯ হাজার ৩৪৮ মেট্রিক টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পটুয়াখালী কার্যালয়ের উপপরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আউশ বৃষ্টি নির্ভর ফসল। এই অঞ্চলের কৃষক সাধারণত আউশ আবাদে কম আগ্রহী। তাই আউশ আবাদে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে ও খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে বিনা মূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এসব সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। এর আগে, কৃষি বিভাগ থেকে বীজ সহায়তা হিসেবে কৃষকদের মধ্যে আরও ২০ মেট্রিক টন বীজ সহায়তা দেওয়া হয়েছিল।’
Comments