ফিল্ডিংয়ে কাইফের সামনে ছিল না আদর্শ, টিটকারি সইতে হয়েছিল যুবরাজকে

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ফিল্ডিং নিয়ে কোন ধারনা ছিল না কাইফের, সামনে ছিল না আদর্শ। আর যুবরাজের তো বাজে ফিল্ডিংয়ের জন্য রীতিমতো টিটকারিও সহ্য করতে হয়েছে।
yuvraj singh and mohammad kaif

ভারতের সব সময়ের সেরা ফিল্ডারদের তালিকা করলে একদম উপরের দিকে থাকবেন যুবরাজ সিং আর মোহাম্মদ কাইফ। ভারতীয়দের মধ্যে ফিল্ডিংয়ে এই দুজন জুটি বেধে নিয়ে এসেছিলেন নতুন তেজ,  তৈরি করেছিলেন নতুন ধারা। অথচ ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ফিল্ডিং নিয়ে কোন ধারনা ছিল না কাইফের, সামনে ছিল না আদর্শ। আর যুবরাজের তো বাজে ফিল্ডিংয়ের জন্য রীতিমতো টিটকারিও সহ্য করতে হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে ঘর বন্দি জীবনে ক্রিকেটারদের অনেকেই পুরনো অনেক স্মৃতি তুলে আড্ডা দিচ্ছেন। সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে ২০০০ পরবর্তী ভারতের নিয়মিত দুই সদস্য যুবরাজ আর কাইফ যুক্ত হয়েছিলেন ইন্সটাগ্রাম আড্ডায়।

সোমবার খোশগল্পে উঠে এসেছে দুজনের ক্যারিয়ারের নানা দিক। কাইফ আর যুবরাজের যখন আড্ডা, অনুমিতভাবেই এসেছে ফিল্ডিং। যুবরাজই প্রথম তুলেন কথাটা। নিয়ে যান পুরনো সময়ে,  ‘কাইফ তোমার ফিল্ডিং ছিল দুর্দান্ত। আমরা দুজন মিলে পয়েন্ট আর কাভার সামলাতাম। অনেক ম্যাচের মোমেন্টাম বদলে দিয়েছি। তোমার মনে আছে কিনা, আমরা মাঠে পানি ঢেলে ডাইভ দিয়ে অনুশীলন চালাতাম। অসাধারণ  ক্যাচ, রান আউটে অবদান রাখতাম ম্যাচে।  ফিল্ডিংয়ে তুমি দশে দশ ছিলে, আমি দশে সাত বা আট। ১৫-২০ রান তো ফিল্ডিংয়েই সামাল দিতাম।’

কাভারে ভারতের দেয়াল হয়ে থাকা কাইফ মনে করিয়ে দেন তাদের সামনে ছিল না কোন দেশীয় আইডলও,  ‘আমার বেড়ে উঠার সময়ে ভারতে তো সেরকম ফিল্ডার ছিল না। যাকে দেখে আদর্শ মানব। কপিল একবার আমায় বলেছিলেন পেসাররা হলো দিনমজুরের মতো। সারাদিন খাটতে হয়। আমি মনে করি ফিল্ডিংও তেমনই। অনেকে অনুশীলনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাট করে, কিন্তু ফিল্ডিং হয়ত আধাঘণ্টাতেই সারে। আমি অনেক পরিশ্রম করতাম কপিলের কথা মনে করে।’

এরপর যুবরাজ জানান, ক্যারিয়ারের শুরুতে ঠিক এতটা ভালো ফিল্ডার ছিলেন না তিনি। ফিল্ডিংয়ে তার গতিপথ বদলে যায় একটি ঘটনায়,  ‘আমার ফিটনেস ভালো ছিল, গতি ছিল। কিন্তু ফিল্ডিংয়ের টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে অতো ধারণা ছিল না। তো ১৫-১৬ বছর বয়েসে রঞ্জির একটা ম্যাচে আমার মিস ফিল্ডিং হলো। তখন কিছুটা চোটেও ছিলাম। পত্রিকায় লেখা হলো- ‘যুবরাজ, গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া।’

বিব্রতকর এই হেডিংয়ে চোখ যায় যুবরাজের বাবা যুগরাজ সিংয়ের। ছেলেকে ক্রিকেটার তৈরির পেছনে বড় অবদান রাখা সাবেক এই ক্রিকেটার তেজ বাড়িয়ে দেন যুবরাজের,  ‘আমার বাবা এটা পড়ে রাগলেন, বললেন, “দেখব তোমার ফিল্ডিংয়ে উন্নতি কীভাবে হয়।” দিনে ১০০-২০০ ক্যাচের অনুশীলন চলত। এমন করে শরীর পোক্ত হয়ে উঠল।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago