বাংলাদেশের ই-কমার্স ও কোভিড-১৯: শঙ্কা না সম্ভাবনা?
স্ত্রী আর এক মেয়েকে নিয়ে আনিস সাহেবের অবসরজীবনের সংসার। ছেলে ব্যাংকে কাজ করেন। বিয়ে করে আলাদা থাকেন। আনিস সাহেব ঢাকায় থাকেন প্রায় ৩০ বছর। তবে এবারই প্রথম তার মনে হলো পহেলা বৈশাখটা অন্যরকম।
মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হওয়ার পর থেকেই পহেলা বৈশাখের সকালে ক্যাম্পাসে চলে যায় সাজগোজ করে। দুপুরে ছেলে আসে পরিবার নিয়ে। মেয়েও ফিরে আসে ততক্ষণে। সবাই নতুন কাপড়ে সেজে একটু বেলা করে খেতে বসেন। ওরা হয়ত একটু বের-টের হয়; কিন্তু, আনিস সাহেব ও স্ত্রী অলস বিকালে বা সন্ধ্যায় টিভিতে বৈশাখের অনুষ্ঠান দেখেন।
এ বছর পহেলা বৈশাখে রাস্তায় শোভাযাত্রা নামেনি, নতুন কাপড় কেনা হয়নি, কেউ বাসায় আসার তো প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু, আনিস সাহেবের স্ত্রী ঠিকই ঘরে অন্তত অন্যদিনের চেয়ে ভালো খাবার তৈরি করেছেন। মেয়েকে দিয়ে অনলাইনে অর্ডার করিয়ে কিছু জিনিস আনিয়ে নিয়েছিলেন আগেই— ফলে এটুকু আর আটকায়নি।
আনিস সাহেবের মতো অনেক পরিবারই এখন অনলাইনে অর্ডার করছেন। কোভিড-১৯ বা কারোনা পরিস্থিতির কারণে কাঁচাবাজার-দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়েই মানুষজন অনলাইনে কেনাকাটা করছেন।
বড় ই-কমার্স কোম্পানিগুলো আর সুপার-স্টোরগুলোর অনলাইনে অর্ডার বেড়ে গেছে চার থেকে দশ গুণ। বিশ্বজুড়ে অ্যামাজন যেমন ১ লাখ লোক নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে, বাংলাদেশে দারাজ, চালডাল, পাঠাও, সহজ, সিন্দাবাদ, ফুডপান্ডার মতো কোম্পানিগুলোও বহু গুণ অর্ডারের চাপ সামলাতে প্রচুর লোক নিচ্ছে।
ই-কমার্সে এই বছরটা হচ্ছিল উত্থানের বছর
বাংলাদেশে ই-কমার্সের প্রসারটা গত চার বছরে বহু গুণ বেড়েছে। দারাজ অধিগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবা আমাদের মার্কেট প্রবেশ করেছে, এসেছে উবার; বাংলাদেশের কোনো ই-কমার্স কোম্পানি প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যায়ন পেয়েছে। এই প্রথম এককভাবে দুই মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারী এসেছেন এই শিল্পে— তাও মাত্র দুই বছরে পাঁচটি কোম্পানিতে।
ই-কমার্সে প্রবৃদ্ধির একটি প্রধান পরিমাপ হচ্ছে গ্রস মার্চেন্ডাইজিং ভ্যালু (জিএমভি) বা কতো টাকার অর্ডার পড়ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেটাও বাংলাদেশে বেড়েছে কয়েক গুণ। দারাজের মতো কোম্পানির বিক্রি বেড়েছে দুই বছরে ১০ গুণের বেশি।
অন্যদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটে ১ লাখের বেশি মানুষ পাঠাও, উবার রাইডসেবা দিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। বিআরটিসির হিসাবে, মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ৪ বছরে হয়েছে দ্বিগুণ। দৈনিক ৩ হাজারের বেশি মানুষ অনলাইনে খাবার কিনছিলেন। প্রায় একই সংখ্যক মানুষ অনলাইনে নিয়মিত শাকসবজি ও ঘরের বাজার করছিলেন প্রতিদিন।
এমনকী, সিন্দাবাদের মতো প্রাতিষ্ঠানিক বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানও তাদের গ্রাহক সংখ্যা বাড়িয়েছে চার গুণ। সব মিলিয়ে দেশীয় ই-কমার্সে শক্তিশালী, টেকসই উত্থানের সব লক্ষণ হচ্ছিল উজ্জ্বল।
সংকটে সম্ভাবনা— গ্রোসারি, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের জয়জয়কার
গত ১৬ মার্চের পর থেকেই দেশের কিছু কিছু জায়গায় মানুষজন ঘরে নিজেদের গুটিয়ে আনা শুরু করে। গত ৮/৯ বছর থেকে চালডাল অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে ঢাকায় গ্রোসারি বিক্রি করে আসছে। তাদের অর্ডার পরের সপ্তাহেই চার গুণ হয়ে যায়।
দেশে আনুষ্ঠানিক বন্ধ ঘোষণা আসতে না আসতেই অন্যান্য কয়েকটি কোম্পানিও খুবই দ্রুত শাকসবজি ও শুকনো, নিত্যপ্রয়োজনীয় আইটেমে মনোযোগ দেয়— দারাজ, আজকের ডিল কিংবা প্রিয় শপ খুচরা দরে এবং সিন্দাবাদ পাইকারি দরে স্যানিটাইজার, অ্যান্টিসেপ্টিকের পাশাপাশি রান্নার তেল, লবণ, ঘর পরিষ্কারের জিনিসপত্র ইত্যাদির পসরা নিয়ে আসে।
পাঠাও, সহজ, ফুডপান্ডা ইত্যাদির গ্রোসারি, মুদি পণ্য ও ওষুধসহ নানান পণ্য, স্বপ্ন ও অন্যান্য আউটলেট থেকে নিয়ে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার সেবা চালু করে।
স্যানিটাইজার, পিপিই ও স্বাস্থ্যপণ্যের চাহিদা দেশজুড়ে
বিখ্যাত আইটি কোম্পনি এ্যাডব, অনলাইনে কী কী পণ্যের কেনাকাটা চলছে, সেটার তথ্য-বিশ্লেষণে দেখিয়েছে যে অনলাইনে মেডিসিন জাতীয় পণ্যের বিক্রি বেড়েছে ১৯৮ শতাংশ। দেশে, বিশেষ করে, ঢাকার বাইরে বাসাবাড়িতে স্যানিটাইজার ব্যবহারের চল ছিল না। ফলে বাজারে সরবরাহের প্রয়োজন হয়নি।
গত মার্চের শুরু থেকে এগুলোর চাহিদা দ্রুত বাড়তে থাকে। প্রথম দেড়-দুই সপ্তাহেই সিন্দাবাদ, দারাজ, চালডালসহ প্রায় সব অনলাইন কোম্পানির মজুদপণ্য বিক্রি হয়ে যায়। ঢাকার ভেতরে তো বটেই, ঢাকার বাইরে বরং এসব পণ্যের বিক্রি আরও বেড়েছে।
দেরি এখন মার্জনীয়, বোঝাপড়ার সম্পর্ক
এই লেখা লেখার সময় একজন আমাকে অভিযোগ করে বললেন, স্বপ্ন থেকে তিনি অর্ডার দিয়েছিলেন, ডেলিভারি দিতে সময় নিয়েছিল চার দিন। অবশেষে ডেলিভারি এলো। কিন্তু, নয়টি আইটেম দিতে পারেনি।
যে চালডাল পরিচিত ছিল ১ ঘণ্টায় ডেলিভারির জন্যে, দারজি কিংবা সিন্দাবাদ তাদের ওয়েবসাইটে দেখাতো এক্সপ্রেস ডেলিভারি, এখন সবাই চলে গেছে ‘রেগুলার ডেলিভারি’তে। চার বা পাঁচ দিন আগে পণ্য পৌছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মীনাবাজার, স্বপ্ন সবাই তাদের ওয়েবসাইটে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছে দেরির জন্য।
একদিকে প্রস্তুতকারকরা চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন করে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। লোকবল সংকটে কারখানা চলছে কম। অপরদিকে, সন্ধ্যা ৬টার পর চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ডেলিভারির সময় হয়ে গেছে অর্ধেক। ডেলিভারির জন্য যারা কাজ করতেন তারা ঢাকা শহরে মেস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে চলে গেছেন গ্রামে। তার ওপর আছে সংক্রমণের ভয়। বেশিরভাগ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে গড়ে ৩০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ লোকবল সংকট তো আছেই, অথচ গ্রাহকদের অর্ডার বাড়ছে হু হু করে।
গ্রাহকরাও এগুলো খানিকটা বোঝেন। অন্য কোথাও না পেয়ে ৩/৪ দিন দেরিতে হলেও অর্ডার মেনে নিচ্ছেন— একেবারে না পাওয়ার চেয়ে তো কিছুটা পাওয়া ভালো।
একদিক থেকে দেখলে বোঝা যায়, গ্রাহকদের সঙ্গে ব্র্যান্ডগুলোর যোগাযোগ বাড়ছে, পরিচয় ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। হয়তো কল সেন্টারে নিয়মিত ফোনালাপ হচ্ছে, মেসেঞ্জারে তারা বার বার নক করছেন। একটা সাইটে না পেলে আরেকটা সাইট ঘেঁটে দেখছেন। এতে সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে, চেনা-জানা বাড়ছে। ঠিকমতো গ্রাহক যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে পারলে ভবিষ্যতে এটা ব্র্যান্ডগুলোকে এই গ্রাহকদের ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
সংকট উদ্ভাবনা, সংকটে একতা
সাধারণ কেনাকাটার ই-কমার্সের বাইরে আরও অনেক স্টার্ট-আপ আছে। সিমেড যেমন তাদের রোগ নির্ণয়ের প্রযুক্তির প্ল্যাটফর্ম কাজে লাগিয়ে সরকারের পক্ষে বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট বুথ তৈরি করেছে— সেখান থেকে মোবাইল অ্যাপভিত্তিক করোনা সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা যায়। রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো রাস্তার টং দোকান থেকে জিনিস কিনে পৌঁছে দিচ্ছে।
তবে এই সঙ্কটে যেভাবে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন, এটুআই ও শীর্ষ ই-কমার্সরা নেপথ্যে থেকে সরকার, এই শিল্পখাত, এবং সর্বোপরি ক্রেতাসাধারণের জন্য এক সঙ্গে কাজ করেছে, সেটা অনেকেই হয়তো জানেন না। প্রতিদিনের ডেলিভারি যেন ক্রেতাদের কাছে পৌঁছায়, সেজন্য মাত্র দুই দিনের ভেতর প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ডেলিভারি কর্মীর এক তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হয়েছে। একে-অপরের অভিজ্ঞতা থেকে যেন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে, সবাই সবার সঙ্গে যেন সমন্বয় করে চলতে পারে, সেটার জন্য দলবদ্ধভাবে ২৪ ঘণ্টা কাজ চলছে।
সবাই এতটা প্রস্তুত ছিল না
যেসব ই-কমার্স খানিকটা ম্যাচিউরড হয়েছে, যাদের হাতে আগামী বছর খানেকের বেশি খরচ বহনের সামর্থ্য আছে, যাদের ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তি শক্ত হয়েছে, এই পরিস্থিতি তারাই খানিকটা মানিয়ে নিয়েছে।
কান্তার রিসার্চের এক জরিপে দেখা গিয়েছে ৭১ শতাংশ কোম্পানিই এখনও সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী নিজেদের মানিয়ে নিয়ে উঠতে পারেনি।
এই যে যারা এখনও মানিয়ে নিয়ে উঠতে পারেনি, এদের জন্য অন্তত আগামী চার মাস কঠিন হবে।
আমদানি নির্ভর অর্থনীতি ও ই-কমার্স
বাংলাদেশের বেশিরভাগ ই-কমার্স কোম্পানিই ফ্যাশন আইটেম বিক্রি করে। এসব আইটেমের একটা বড় অংশ চীন কিংবা ভারত থেকে আমদানিকৃত। সারা বছরে যা বিক্রি হয় তার প্রায় ৫০ শতাংশই হয় রোজার ঈদকে ঘিরে। ফ্যাশন এন্ট্রাপ্রেনিউরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এফইএবি) মতে, আরও কমবেশি ২৫ শতাংশ বিক্রি হয় পহেলা বৈশাখকে ঘিরে।
মার্চে স্বাধীনতা দিবস হলো না, এপ্রিলে বৈশাখী বিক্রি হলো না, মে মাসে ঈদের কেনাকাটার জন্য এপ্রিলে পোশাক বানাতে হত কিংবা চীন বা ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে হত— সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। অন্যান্য দেশের ট্রেন্ড দেখে বোঝা যাচ্ছে লকডাউন কমবেশি ঈদ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। তাহলে ঈদের বিক্রিও প্রায় হবে না বললেই চলে।
সামান্য কয়েকটি ছাড়া, ই-কমার্সের সামগ্রিক অবস্থা আসলে সংকটময়
সুতরাং, দেখে যতটা মনে হয় যে ই-কমার্স কোম্পানিগুলোর এখন রমরমা ব্যবসা চলেছে, বিষয়টা আসলে সেরকম না। কারো কারো ব্যবসা বেড়েছে, তবে অর্ডার আসলে আসছে মাত্র তিনটা ক্যাটেগরিতে: ১. গ্রোসারি, ২. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং ৩. ওষুধ/ মেডিকেল পণ্য।
ফ্যাশন ও ইলেক্ট্রনিক্স আইটেম ই-কমার্সের প্রায় ৮০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ। এখন এগুলোর ব্যবসা নেই বললেই চলে।
মোবাইল ফোনে অর্ডার করে সেবা নিতে রাইড শেয়ারিং আমাদের দেশে সাধারণ গ্রাহকদের সবচেয়ে দ্রুত অভ্যস্ত করিয়েছে— সেটা এখন বন্ধ। বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকার কারণে অনলাইনে খাবার অর্ডারও প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। সামনে রোজা। সুতরাং খাবারের ব্যবসা বাড়ার সম্ভাবনাও নেই।
অস্তিত্বের প্রয়োজন ঘুরে দাঁড়ানো
এবারের সংকট খুব দ্রুত চলে যাবে না। বরং, সংক্রমণের ভয় কেটে গেলে আসবে অস্তিত্বের ভয়। আয় নেই, তাই ব্যয় কমবে, কেনাকাটা কমবে। সরকার যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, ধরেই নিতে হবে সেটা বেশিরভাগ ই-কমার্সের কাছে পৌঁছাবে না। (কেন পৌঁছাবে না, সেটা নিয়ে আরেকটা লেখা হতে পারে, তবে এখানে আর উল্লেখ করছি না।)
কোম্পানিগুলো ব্যয় সংকোচন করে হোক, কর্মী কমিয়ে হোক, কৌশল পরিবর্তন করে হোক, ধার করে হোক, নিজেদের কমপক্ষে আরও ছয় মাস চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। এটা বেঁচে থাকার যুদ্ধ— এমন একটা সময় যেটার জন্য সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোরও প্রস্তুতি নেই।
ক্রাইসিসের ও এর পরে উত্তরণের সময়টায় ক্রেতারা একেবারে বেসিক প্রয়োজনীয় জিনিসের বাইরে কিছু কিনতে চায় না। সুতরাং ই-কমার্সে যে সব স্টার্ট-আপ আছে, তারা সেই অনুযায়ী ব্যবসা কৌশলে কিংবা পণ্য বা সেবা পসরায় পরিবর্তন আনবেন সম্ভবত।
লেখার শুরুতে আনিস সাহেবদের কথা বলছিলাম। এই ঈদে কি তাদের মতো মানুষ একটা হলেও জামা কিনতে চাইবেন না? বাসার জন্য রোজার সামান্য আইটেম কেনাকাটা হবে না? হবে— এবং অসংখ্য ক্রেতা এখন অনলাইনে আসবে। এদের একটা বড় অংশ প্রথমবার কিনতে আসছেন। সুতরাং তাকে হাত ধরে অর্ডার থেকে চেক-আউট পর্যন্ত নিয়ে পণ্যটা তার বাসায় পৌঁছে দিতে পারলে, তিনি হয়ত সারা জীবনের জন্য কাস্টমার হয়ে থাকবেন।
আগে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে যত না ক্রেতা পাওয়া যেত, এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশিই পাওয়া যাবে।
বাজার পুরোপুরি বন্ধ হবে না, তবে চাহিদা পরিবর্তিত হবে।
সুতরাং, পরিবর্তিত চাহিদাকে মাথায় রেখে ই-কমার্সগুলো অনেকেই নিজেকে বদলাবে। সামগ্রিকভাবে, এতে জয় সব মানুষেরই হবে!
জিসান কিংশুক, ই-কর্মাস প্ল্যাটফর্ম কিকশা ও সিন্দাবাদডটকমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)
Comments