মানিকগঞ্জে দিনে পুলিশের সতর্কবার্তা, রাতেই প্রেসক্লাবে চুরি
মানিকগঞ্জ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সতর্ক করার পর রাতেই চুরি হলো সাটুরিয়া প্রেসক্লাবে। গতকাল মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় এই চুরি সংঘটিত হয়েছে। সাটুয়িরা থানার ১০০ গজের মধ্যে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকসহ সচেতনমহল।
সাটুরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে প্রেসক্লাবের সদস্যরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে কার্যালয়ে তালা বন্ধ করে চলে যান। আজ বুধবার সকালে কার্যালয়ের পিওন মো. কোরবান আলী কার্যালয়ের তালা খুলে ভেতরে ঢুকে দেখতে পান জানালা ভাঙা। পিওনের কাছ থেকে খবর পেয়ে সহকর্মীরা কার্যালয়ের ভেতরের গিয়ে দেখতে পান একটি কম্পিউটার, একটি ২১ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন ও ২০টি প্লাস্টিকের চেয়ার নেই। রাতের কোনো এক সময় জানালার গ্রিল ভেঙে এসব মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাদের ধারণা।
নৈশ প্রহরী না থাকলেও প্রধান সড়কের পাশে থানা সংলগ্ন প্রেসক্লাবে চুরির ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। এ ব্যাপারে তিনি সাটুরিয়া থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
সাটুরিয়া থানার অফিসার-ইনচার্জ মো. মতিয়ার রহমান জানান, প্রেসক্লাবে চুরির ঘটনায় তারা একটি অভিযোগ পেয়েছেন। ইতিমধ্যে তারা অভিযানে নেমেছেন।
মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোহা. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গতকাল পুলিশের পক্ষ একটি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ব্যস্ততার সুযোগে ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) পরে ভুয়া পুলিশ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী সেজে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একদল দুষ্কৃতিকারী। পিপিই পরে পুলিশ, চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর পরিচয়ে কেউ বাড়িতে গেলে ঘরের দরজা না খুলে দ্রুত পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের সব জায়গাতেই মাইকিং করা হচ্ছে।’
এছাড়া জেলার সবগুলো থানার সরকারি ওয়েবসাইটেও এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ এ ব্যাপারে তৎপর আছে জানিয়ে হাফিজুর রহমান বলেন, ‘জনগণ সচেতন না হলে এটা ঠেকানো কঠিন হবে। জেলা পুলিশ এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করছে।’
Comments