ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়ে ত্রাণের সঙ্গে সবজি বিতরণ

ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব ও কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীর সঙ্গে সবজি বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ছবি: স্টার

ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব ও কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীর সঙ্গে সবজি বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য কিনে নিয়ে দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এতে কৃষকরাও উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন। ঠাকুরগাঁওয়ে এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সময়ের দাবি’।

এই কর্মসূচির আওতায় বুধবার ২০০ জনের মাঝে পাঁচ কেজি করে চাল, এক কেজি মুসুরের ডালের সঙ্গে এক কেজি আলু, এক কেজি বেগুন এবং একটি করে লাউ বিতরণ করা হয়েছে। আজও ২০০ জন মানুষকে এই সহায়তা দেওয়া হবে।

সেদিনই পঞ্চগড়ে সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন ২০০ জনের প্রত্যেকের হাতে নগদ ৩২০ টাকা, দুই কেজি করে বেগুন, দুইটি লাউ এবং এক কেজি শসা তুলে দেন। মঙ্গলবার এভাবে ত্রাণ পেয়েছেন ৩০০ জন।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁয়ের জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন বাজারে ভিড় কমিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষকদের কথা ভেবে ত্রাণ সামগ্রীর পাশাপাশি সবজি কিনে বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার পাশাপাশি দরিদ্র মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে।

লকডাউনে সবজি বাজারে মন্দাভাবের মধ্যে জেলা প্রশাসন সবজি কিনতে শুরু করায় বাজারে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।

পঞ্চগড় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম রব্বানী জানান, কৃষকদের পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কৃষকদের কাছে সরাসরি সবজি কিনে আবার সেই ইউনিয়নেই বিতরণ করা হচ্ছে।

হাফিজাবাদ ইউনিয়নের কৃষক আল আমিন জানান, বাজারে সবজির দাম নেই বললেই চলে। প্রতি কেজি শসা দুই-তিন টাকা দরেও বিক্রি হয় না। গতকাল উপজেলা প্রশাসনের কাছে সাত টাকা দরে দুই শ কেজি শসা বিক্রি করে কিছু টাকা পেয়েছি।

একই ইউনিয়নের পামরুজ আলীর কাছ থেকে কেনা হয়েছে ৪০০ কেজি বেগুন ও ৪০০ লাউ। তিনিও এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, এই উদ্যোগের ফলে চরম মন্দার বাজারে কৃষক দাম পাবে।

Comments