করোনার কারণে জন্মদিন পালন করবেন না শচিন

শচিন টেন্ডুলকার ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে অনেকটা ঈশ্বরের মতো। বলা হয় ক্রিকেট যদি ধর্ম হতো তাহলে তিনি হতেন সেই ধর্মের ঈশ্বর। ক্রিকেট ছেড়ে দিলেও তার প্রতি আবেগ কমেছে খুব অল্পই। আজ, শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সেই ঈশ্বরের ৪৭তম জন্মদিন। অন্যান্য বছরের মতো এবার আর জন্মদিন পালন করা হচ্ছে না তার। কারনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে প্রার্থনা করেই সময় কাটাতে চান এ কিংবদন্তি। সম্প্রতি স্পোর্টস স্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন তিনি।
sachin tendulkar
ছবি: এএফপি

শচিন টেন্ডুলকার ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে অনেকটা ঈশ্বরের মতো। বলা হয় ক্রিকেট যদি ধর্ম হতো তাহলে তিনি হতেন সেই ধর্মের ঈশ্বর। ক্রিকেট ছেড়ে দিলেও তার প্রতি আবেগ কমেছে খুব অল্পই। আজ, শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সেই ঈশ্বরের ৪৭তম জন্মদিন। অন্যান্য বছরের মতো এবার আর জন্মদিন পালন করা হচ্ছে না তার। কারনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে প্রার্থনা করেই সময় কাটাতে চান এ কিংবদন্তি। সম্প্রতি স্পোর্টস স্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন তিনি।

সারা বিশ্বই বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে। ইউরোপে কিছুটা কমলেও করোনাভাইরাস উপমহাদেশে দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে। প্রতিনিয়তই বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর জন্মদিনটা একটু আলাদা কি-না জানতে চাইলে শচিন উত্তর দেন, 'আমি এ বছর আমার জন্মদিন পালন করব না। আমরা এখন যে পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে আমরা যাচ্ছি, কোনো কিছু উদযাপন করার সময় এখন নয়... এখন সময় প্রার্থনা করার।'

করোনায় সৃষ্ট বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজের পক্ষ থেকে সাহায্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন শচিন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে একবারের জন্যও ঘরে থেকে বের হননি। ঘরে বসেই ভিডিও কনফারেন্সে সরকারী নির্দেশনা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি, 'ফোনে আর ভিডিও কনফারেন্সে জরুরি কাজগুলো সেরে নেই। সরকার থেকে যখন নির্দেশনাগুলো জনসাধারণের জন্য ব্যাখ্যা করতে বলা হয়, আমরা সেসবও করছি। পাশাপাশি, প্রথমবারের মত আমার স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তাদের সঙ্গে ৪৫ মিনিট কথা বলেছি।'

দুর্যোগের এ সময়ে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ক্রিকেট। আর এ সময়ে ক্রিকেটের চেয়ে জীবন বাঁচানোকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন শচিন, 'শুধু খেলা নয়, সব কিছুর উপরই সাংঘাতিক প্রভাব পড়তে চলেছে। এমন নয় যে, খেলোয়াড়দেরই শুধু বাড়িতে বসে থাকতে হচ্ছে আর বাকি পৃথিবী ইচ্ছে মতো বাইরে বেরোতে পারছে। লকডাউন সকলের জন্য, পৃথিবীর সব মানুষের জন্য। এই মুহূর্তে জীবন বাঁচানোটাই সকলের কাছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।'

অনেকেই বন্ধ দরজায় দর্শকশূন্য মাঠে ক্রিকেট আয়োজনের পক্ষে। বিশেষকরে এ সময়ে আইপিএল আয়োজনের দাবিও করেছেন অনেকে। শচিন অবশ্য এর পক্ষপাতী নন, 'দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে যারা খেলবে সেই ক্রিকেটারদের জন্য হবে হতাশার। এটা খুবই আশ্চর্যজনক একটা ব্যাপার হবে। আমি মনে করি, খেলোয়াড়রা গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের থেকে প্রচুর শক্তি পায়। কেউ একটা দারুণ বাউন্ডারি মারল আর গোটা মাঠ নিশ্চুপ, কোনও প্রশংসাসূচক ধ্বনি বা হাততালি নেই! কী রকম অদ্ভুত হবে! বোলারদের ক্ষেত্রেও একই জিনিস হয়। দর্শকহীন মাঠে খেলা হলে সেই আবহটাই যে থাকবে না।'

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago