তামিমের উপহার পৌঁছে দিচ্ছেন নাফিসা
সামাজিক মাধ্যমে বর্তমানে বেশ পরিচিত এক নাম নাফিসা আনজুম খান। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট এ দুঃসময়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে দ্বারে দ্বারে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। আর গণমাধ্যমে এ সংবাদ পেয়ে তার মহৎ উদ্যোগে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। আজ শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) তামিমের দেওয়া উপহার অসহায় পরিবারে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন 'একজন বাংলাদেশ'।
এদিন তামিমের উপহারের প্যাকেটের ছবি সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করে নাফিসা লিখেছেন, 'ক্যাপ্টেনের উপহার নিয়ে রওনা হচ্ছি...'
মূলত, যে সকল পরিবার নাফিসার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাদের কাছে সিএনজিতে চড়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন নাফিসা। সিএনজিতে একটি ব্যানারে লেখা থাকে 'একজন বাংলাদেশ'। শুরুতে কারও সাহায্য নেননি। তার মহৎ উদ্যোগ দেখে কাছের মানুষরাও তার সঙ্গে যোগ দেন। সে ধারায় গণমাধ্যমে বরাতে জানতে পেরে তার সঙ্গে সামিল হোন টাইগার অধিনায়কও।
এদিন উপহার নিয়ে বের হওয়ার ঘণ্টা খানেক আগে তামিমকে স্যালুট দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আরও একটি পোস্ট করেন নাফিসা। সেখানে লিখেছেন, 'ধন্যবাদ ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল খান। স্যালুট জানাই আপনাকে দেশের এই সংকটের মুহূর্তে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। বৃষ্টি উপেক্ষাই করেই রওনা হচ্ছি... ইনশাআল্লাহ ঠিক সময়ে ক্যাপ্টেনের উপহার নিয়ে হাজির হয়ে যাবো আপনাদের দরজায়।'
রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, বাড্ডা এবং যাত্রাবাড়ী অঞ্চলে তামিমের উপহার পৌঁছে দিবেন নাফিসা। আগের দিনই ফেসবুকে পোস্ট করে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি, 'বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল খানের উপহার নিয়ে আমি পৌঁছে যাব আগামীকাল শুক্রবার মিরপুর,উত্তরা,বাড্ডা এবং যাত্রাবাড়ী এলাকার নির্ধারিত কিছু পরিবারের কাছে। ধন্যবাদ ক্যাপ্টেন দেশের এই কঠিন সময়ে সাধারণ মানুষের কাছে উপহার হিসেবে আহার পৌঁছে দেওয়ার জন্য।'
গতকাল তামিমের উপহারের একটি ভিডিও চিত্রও আপলোড করেছিলেন তিনি।
তামিমের উপহার প্রসঙ্গে এর আগে ডেইলি স্টারের সঙ্গে একান্ত আলাপে নাফিসা বলেছিলেন, 'আমি নিজ উদ্যোগে উপহার দিয়ে যাচ্ছিলাম। তামিম ভাই গণমাধ্যমে আমার উদ্যোগের কথা জানতে পারে এবং আমাকে কল দেয়। সে জানতে চায় আমি কীভাবে কাজ করি। বিস্তারিত জানার পর আমাকে জিজ্ঞাসা করেন কোন সাহায্য লাগবে কি-না। আমি বলি, মূলত আমার কাছের মানুষ আমাকে সাহায্য করছে। তখন তিনি বলেন, তিনি খুব খুশী হবেন যদি কোনভাবে কিছু করতে পারেন। কিন্তু লকডাউনের এ সময়ে পণ্য আনা নেওয়া সম্ভব না। তাই তিনি আমাকে কিছু ফান্ড দিয়েছেন। যেটা আগামী শুক্রবার পৌঁছে দিব যারা আমাকে কল দিয়েছে তাদের মধ্যে।'
Comments