চাল আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্য বরখাস্ত
পটুয়াখালীতে চাল আত্মসাতের অভিযোগে সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন মৃধা এবং উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসা. লিপি বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া, নির্ধারিত সময়ে চাল বিতরণ না করায় বাউফল উপজেলার পাঁচ জন ইউপি চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
গত ৩০ মার্চ রাতে জেলেদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া চাল বিক্রির সময় জাকির ও সোহাগ নামে দুজনকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। তাদের জবানবন্দি অনুযায়ী পরের দিন মনির হোসেন মৃধাকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ৬ এপ্রিল ওই মামলায় পুলিশ মনিরকে গ্রেপ্তার করে।
তবে জেলা প্রশাসনের গঠন করা কমিটির প্রধান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লতিফা জান্নাতী তার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, জব্দ করা চাল চুরির ঘটনায় মনির হোসেনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। মনির বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন।
গত ১৫ এপ্রিল বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও ওই ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসা. লিপি বেগমের ঘর থেকে ত্রাণের পাঁচ বস্তা চাল উদ্ধার করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই ঘটনায় তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নির্ধারিত সময়ে জেলেদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ১৪১ মেট্রিক টন চাল বিতরণ না করে সরকারি খাদ্য গুদামে মজুদ রাখায় পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হেমায়েত উদ্দিন এই নোটিশ দেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এরা হলেন— নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক, কালাইয়া ইউনিয়নের এ কে এম ফয়সাল আহম্মেদ, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের এনামুল হক আলকাচ মোল্লা, সূর্যমনি ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন ও কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন লাভলু।
গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মাহবুবুল ইসলাম কালাইয়া খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে যান। সেখানে চাল মজুত রাখার বিষয়টি তার নজরে আসে।
কালাইয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, চালগুলো ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের জন্য বরাদ্দ করা। কিন্তু চেয়ারম্যানরা গুদাম থেকে চাল নেননি।
Comments