চীনে সফল হলো না যুক্তরাষ্ট্রের করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়াল

করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক ‘রেমডিসিভির’ প্রথম ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে। বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গিলিয়াডের তৈরি রেমডিসিভির নিয়ে আশা ছিল এটি কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় কাজে আসবে।
ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক ‘রেমডিসিভির’ প্রথম ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে। বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গিলিয়াডের তৈরি রেমডিসিভির নিয়ে আশা ছিল এটি কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় কাজে আসবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক খসড়া প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চীনে ওই ওষুধের ট্রায়াল সফল হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেমডিসিভির প্রয়োগে রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়নি, কমেনি রক্তে ভাইরাসের উপস্থিতি।

রেমডিসিভির উৎপাদনকারী আমেরিকান প্রতিষ্ঠান গিলিয়াড সায়েন্সেস অবশ্য বলেছে, ডব্লিউএইচও’র ওই প্রতিবেদনে ট্রায়ালের ফলাফল ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

ডব্লিউএইচও রেমডিসিভিরের ক্লিনিকাল ট্রায়াল বিষয়ক এক প্রতিবেদন উপস্থাপন করলে, এর ব্যর্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে অবশ্য তারা প্রতিবেদনটি সরিয়ে ফেলে এবং খসড়া ওই প্রতিবেদনটি ভুল করে প্রকাশ করা হয়েছিল বলে জানায়।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, গবেষকরা ২৭৭ জন রোগীর মধ্যে ১৫৮ জনের ওপর রেমডিসিভির প্রয়োগ করেন। বাকি ৭৯ জনকে দেওয়া হয় ‘প্লেসবো’। তাদের শরীরে এই দুই ওষুধের অগ্রগতি তুলনা করে দেখা যায়, এক মাস পরে রেমডিসিভির নেওয়া ১৩ দশমিক নয় শতাংশ রোগী মারা যায়। আর প্লেসবো প্রয়োগ করা রোগীদের মধ্যে মারা যায় ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকায় আগেভাগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় এই ট্রায়াল।

প্রতিবেদনের মূল বক্তব্য ছিল, ক্লিনিকাল কিংবা ভাইরাসজনিত কোনো উপকারেই আসেনি রেমডিসিভির।

এই খবরে, আমেরিকার তিনটি প্রধান পুঁজিবাজারের সূচক অন্তত এক শতাংশ করে নেমে যায়।

এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই খসড়া প্রতিবেদন উপস্থাপন নিয়ে সমালোচনা করেছে গিলিয়াড সায়েন্সেস।

প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ট্রায়ালটিকে তারা ভুলভাবে উপস্থাপন করেছিল।’

‘ট্রায়ালটি স্বল্প পরিসরে করা হয়েছিল। তাই এটি পরিসংখ্যানগতভাবে অর্থবহ ছিল না,’ যোগ করেন তিনি।

ওই মুখপাত্র বলেন, ‘পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে কোনো উপসংহার টানা যাবে না। এর উপাত্তগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, রেমডিসিভির অনেকখানি কার্যকর। বিশেষ করে যেসব রোগীদেরকে প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসা দেওয়া যায়, তাদের জন্য এটা কাজে লাগার ভালো সম্ভাবনা আছে।’

তবে, এখানেই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক পাওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। আরও কয়েকটি ওষুধের ট্রায়াল চলছে। শিগগিরই এসব ওষুধের কার্যকারিতার বিষয়ে একটি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Age limit for govt job entry: Panel suggests 35yrs for men, 37 for women

A government committee has recommended raising the maximum age limit for applying for public service jobs to 35 years for male candidates and 37 years for female applicants..The five-member committee, formed to review the feasibility of extending the age limit for applying for government j

3h ago