কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারতের চিকিৎসা সহায়তার ২য় চালান বাংলাদেশে
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারতের চিকিৎসা সহায়তার দ্বিতীয় চালান বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ ২৬ এপ্রিল ঢাকাস্থ ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ এক লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট ও ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিক্যাল ল্যাটেক্স গ্লাভস হস্তান্তর করেন।
হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথমে’নীতির অংশ হিসেবে ও কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সহযোগিতামূলক আঞ্চলিক প্রচেষ্টার লক্ষ্যে গত ১৫ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সার্ক নেতাদের নিয়ে ভিডিও সম্মেলন করেছিলেন।
বাংলাদেশের প্রতি ভারতের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জরুরি চিকিত্সা সরবরাহের দ্বিতীয় চালানটি হস্তান্তর করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরবরাহ, প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারত থেকে অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘সঙ্কটের সময়ে প্রতিবেশী বন্ধুর সহায়তাকে আমরা স্বাগত জানাই।’
হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের অব্যাহত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের আওতায় ও কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে। চিকিত্সা সামগ্রীগুলো বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বিমান বাংলাদেশের সহায়তায় ওষুধগুলো ভারত থেকে আনা হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণায় ভারতের ১০ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিক সহায়তা নিয়ে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল গঠিত হয়। এই তহবিলের অধীনে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক ও ১৫ হাজার হেড-কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রথম চালান গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবদুল মোমেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
Comments