তিন দফায় এনআইডির ফটোকপি জমা দিয়েও মেলেনি ত্রাণ, গ্রামবাসীর বিক্ষোভ

তিন দফায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এর ফটোকপি জমা নিয়েও ত্রাণ সহায়তা না দেওয়ায় লালমনিরহাটে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শতাধিক গ্রামবাসী। সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের বত্রিশহাজারি গ্রামের রাস্তায় ঘণ্টাব্যপী বিক্ষোভ করেন তারা।
ত্রাণের দাবিতে লালমনিরহাটের ত্রিশহাজারি গ্রামে বিক্ষোভ। ছবি: স্টার

তিন দফায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) এর ফটোকপি জমা নিয়েও ত্রাণ সহায়তা না দেওয়ায় লালমনিরহাটে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শতাধিক গ্রামবাসী। সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের বত্রিশহাজারি গ্রামের রাস্তায় ঘণ্টাব্যপী বিক্ষোভ করেন তারা।

স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর অভিযোগ, মতিউল ইসলাম লিটন ও তার লোকজন তিন দফায় এনআইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়েছেন। গ্রামে অধিকাংশ উপার্জনক্ষম লোক রিক্সা-ভ্যান চালক, ওয়ার্কশপ শ্রমিক, অটো চালক, দিনমজুর ও কৃষি শ্রমিক। কর্মহীন হয়ে বাড়িতে বসে থাকলেও গত দুই সপ্তাহে তারা ত্রাণ পাননি।

বিক্ষোভে যোগ দেওয়া গ্রামের বৃদ্ধ শুক্কুর আলী (৭৫) বলেন, ‘মুই আর কয়দিন না খ্যায় থাকং। এই বুড়া বয়সে না খ্যায় থাকা যায়। ব্যাটার কামাই নাই। ঘরত কোন খাবার নাই। অ্যালা একবেলা খাবার পাং তো আর একবেলা খাবার না পাং।’

এই গ্রামের জোহরা বেগম (৪৮) অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী এখন কর্মহীন আর মেয়ে অসুস্থ। মেম্বার চেয়ারম্যানের হাত-পা ধরেও কোন ত্রাণ পাননি ‘মেম্বার চেয়ারম্যান মোক কয় ওমার ইলিপ বোলে শ্যাণ হয়া গ্যাইছে। আর হামরা যে না খ্যায়া আছোয় সেইল্যা ওমার নজর নাই,’ অভিযোগ করেন তিনি।

স্থানীয় মোগলহাট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মতিউল ইসলাম লিটন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তার ওয়ার্ডে প্রায় ৯০০ পরিবারের জন্য ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন। তিনি পেয়েছেন মাত্র ১৭০টি পরিবারের ত্রাণ। ‘অপ্রতুল বরাদ্দে চাহিদা পূরণ করতে পারছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউএনও অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রামবাসীদের কাছ থেকে তিন দফায় ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাই সরকারি ত্রাণ সহায়তা পাবেন।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago