ডি ভিলিয়ার্স অবসরে যাওয়ায় ‘খুব খুশি’ হ্যাজেলউড
![ab de villiers josh hazlewood ab de villiers josh hazlewood](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/000_br7l8.jpg?itok=JMuX4pVN×tamp=1587916407)
নান্দনিক ব্যাটিংয়ের জন্য বিখ্যাত এবি ডি ভিলিয়ার্স ক্রিকেট ইতিহাসে স্থায়ী আসন পেয়ে গেছেন এরই মধ্যে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাকালে দুনিয়ার বাঘা বাঘা সব বোলারকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছেন তিনি। ব্যাট হাতে আগ্রাসী আর উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন সাবেক এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান যেন ছিলেন প্রতিপক্ষের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক!
ছন্দে থাকা ডি ভিলিয়ার্সের সামনে বোলাররা কতটা অসহায় হয়ে পড়তেন তা যেন ফুটে উঠেছে জস হ্যাজেলউডের কথায়। এই অস্ট্রেলিয়ান পেসার দিয়েছেন সরল স্বীকারোক্তি, প্রোটিয়া তারকা অবসরে যাওয়ায় ‘খুব খুশি’ হয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে একটি লাইভ আয়োজনে দর্শকের প্রশ্নের জবাবে হ্যাজেলউড বলেছেন, মুখোমুখি হওয়া কঠিনতম ব্যাটসম্যান হলেন ডি ভিলিয়ার্স, ‘বিশ্ব জুড়ে এই মুহূর্তে অল্প কয়েকজন ব্যাটসম্যান আছেন। কিন্তু আমি নিশ্চিতভাবেই বলব এবি ডি ভিলিয়ার্স (মুখোমুখি হওয়া কঠিন ব্যাটসম্যান)। আমি খুব খুশি যে, তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন।’
বছর চারেক আগেও এক সাক্ষাৎকারে হ্যাজেলউড মুখোমুখি হওয়া কঠিনতম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডি ভিলিয়ার্সের নামই উল্লেখ করেছিলেন। ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’ খ্যাত ব্যাটসম্যানের কৌশল, দক্ষতা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার কার্যকারিতার প্রতি মুগ্ধতার কথা জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রথম ছয় ওভারে তিনি ব্যাপক আকারে আধিপত্য বিস্তার করে থাকেন। কেবল ইনিংসের শেষদিকেও তিনি বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরান।’
চাপ নিতে পারছেন না এমন যুক্তি দেখিয়ে ২০১৮ সালের মে মাসে হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যান ডি ভিলিয়ার্স। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসরে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন তিনি। গেল কয়েক মাস ধরে অবশ্য তার অবসরে ভেঙে জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। গুঞ্জন ছিল, চলতি বছরের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে দেখা যাবে তাকে।
কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সেই সম্ভাবনা প্রায় ফিকে হতে চলেছে। কয়েক দিন আগে নিজ দেশের একটি দৈনিককে ডি ভিলিয়ার্স জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যাওয়ার কথা, ‘এই মুহূর্তে আমি ফিরতে প্রস্তুত। কিন্তু বিশ্বকাপ যদি পরের বছর চলে যায়, তাহলে বাস্তবতা পাল্টে যাবে। আমি জানি না তখন আমরার শরীর কতটা সাড়া দেবে, কতটা ফিট থাকব।’
Comments