যারা ঋণ নিয়েছেন, সুদ নিয়ে চিন্তা করবেন না: ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার, নার্স বা যারা রোগীদের চিকিৎসা দেবেন, তাদের সুরক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজন।’
গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি। (অনলাইন থেকে নেওয়া)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার, নার্স বা যারা রোগীদের চিকিৎসা দেবেন, তাদের সুরক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজন।’

‘সেজন্য ইতোমধ্যে আমরা প্রায় ১৫ লাখ ১৬ হাজার ১৯০ পিস পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সংগ্রহ করেছি। ইতোমধ্যে প্রায় ১২ লাখ ৪২ হাজার ৮০০ পিস বিতরণ করেছি। আর ২ লাখ ৭৪ হাজার ১০০ পিস মজুদ আছে এবং এটা যথাযথ সবসময় আমরা সংগ্রহ করে যাচ্ছি এবং এটা দিয়ে যাচ্ছি’, যোগ করেন তিনি।

আজ সোমবার সকাল ১০টায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গণভবন থেকে রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা কতগুলো হাসপাতাল সুনির্দিষ্ট করে রেখেছি। তা ছাড়া, প্রত্যেকটা জেলায় জেলায় করোনা রোগে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থাটা যাতে যথাযথভাবে নিয়ম মেনে করা যায়, সেটুকু ব্যবস্থা নিয়েছি, নিয়ে যাচ্ছি।’

‘তা ছাড়া, সবথেকে বড় কথা হচ্ছে যে মানুষের কাজ নেই। বিশেষ করে আমাদের যারা একেবারে হতদরিদ্র, তাদেরকেও আমরা যেমন সাহায্য দিচ্ছি, কিন্তু, নিম্নবিত্ত এমনকি ছোট-খাট কাজ করে যারা খায়, তাদের জন্যও যথেষ্ট কষ্ট আমরা জানি। সে কারণেই ক্ষুদ্র ব্যবসা থেকে শুরু করে, অর্থাৎ মৎস্য চাষি থেকে শুরু করে পোলট্রি, ডেইরি, কৃষিকাজ যারা করেন বা বিভিন্ন ধরনের ছোট-খাট ব্যবসা, প্রত্যেকের কথা চিন্তা-ভাবনা করে এবং অন্যান্য দিকে খেয়াল রেখে আমরা প্রায় এক লাক কোটি টাকার কাছাকাছি প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছি এবং সেটা ভাগে ভাগে। কাজেই যাদের ছোট-খাট ব্যবসাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাদের কিন্তু এখান থেকে মাত্র ২ শতাংশ সুদে আমরা টাকা দিয়ে দিচ্ছি। সে ব্যবসাগুলো যাতে চালু রাখতে পারেন, সেটা আমরা দেখবো’, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আরেকটা বিষয় বলবো, যারা ইতোমধ্যে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেছেন, কিন্তু, এই করোনাভাইরাসের কারণে এই কয় মাস সবকিছু বন্ধ দেখে আপনার ঋণের সুদ হয়ে গেছে, সেটার জন্য আপনারা চিন্তা করবেন না। কারণ, এই সুদ এখনই নেওয়ার কথা না। এই মিটিংয়ের পরেই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বসবো। কাজেই সুদগুলো যাতে স্থগিত থাকে এবং পরবর্তীতে কতটুকু মাপ করা যায় এবং কতটুকু আপনারা নিয়মিত দিতে পারেন, সেটা বিবেচনা করা হবে। কাজেই সেটা নিয়ে কেউ দুশ্চিন্তায় ভুগবেন না।’

‘অন্তত এইটুকু আমি বলবো, যেখানে আমাদের সবথেকে বড় কথা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা, আর আমাদের জীবন-জীবিকার পথটা উন্মুক্ত রাখা। যেসব জায়গায় এখনো করোনাভাইরাস বেশি দেখা দেয়নি, ধীরে ধীরে আমরা সে জায়গাগুলো শিথিল করে দিচ্ছি, যাতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনটা করতে পারে বা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে, সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি’, যোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন:

‘মানুষ যাতে না খেয়ে কষ্ট না পায়, এর জন্য যা যা করণীয় করে যাচ্ছি’

আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে

Comments