হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল লকডাউন
হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গতকাল রবিবার রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন একেএম মোস্তাফিজুর রহমান। হাসপাতালটিতে নতুন করে কোনো রোগী ভর্তি করা হবে না বলে জানান তিনি। তবে হাসপাতাল থাকা রোগীরা সুস্থ হলে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন।
সিভিল সার্জন এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গতকাল রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসককে সদর হাসপাতাল লকডাউন ঘোষণা করার জন্য লিখিতভাবে জানানো হয়। বিকেলে তিনি সদর হাসপাতালকে লকডাউন ঘোষণা করেন।’
গত শনিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের একজন চিকিৎসক, দুজন নার্স, ল্যাব টেকনোলজিস্ট, অ্যাম্বুলেন্স চালক, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির আরও পাঁচ জনসহ জেলায় মোট ২০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে রয়েছেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
হবিগঞ্জে এখন পর্যন্ত মোট ৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গত শনিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ থেকে করোনায় আক্রান্ত এক শিশুকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার পর্যন্ত জেলা থেকে সিলেট ও ঢাকার পরীক্ষাগারে পাঠানোর জন্য এক হাজার ৬১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৬৫৬ জনের করোনা নেগেটিভ এবং ৪৭ জনের পজিটিভ আসে। হাসপাতালটির আইসোলেশন সেন্টারে ২৭ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন সাধারণ রোগী।
এর আগে চিকিৎসক ও নার্সরা করোনা সংক্রমিত হওয়ায় জেলার লাখাই ও চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন করে দেওয়া হয়।
Comments