আদার বাজারে অস্থিরতা: চট্টগ্রামে ৪ ব্যবসায়ীকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

আমদানি মূল্যের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি দামে আদা বিক্রির দায়ে সোমবার চট্টগ্রামের চার আমদানিকারক ও পাইকারী ব্যবসায়ীকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজার। ফাইল ফটো স্টার

আমদানি মূল্যের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি দামে আদা বিক্রির দায়ে সোমবার চট্টগ্রামের চার আমদানিকারক ও পাইকারী ব্যবসায়ীকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বাজার অস্থিতিশীল করার দায়ে ৪ ব্যবসায়ী ও ৩২ আমদানিকারককে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, গত ২২ এপ্রিল মিয়ানমার থেকে ৫৬ টন আদার একটি চালান আমদানি করে চট্টগ্রাম খাতুনগঞ্জের প্রতিষ্ঠান শাহ আমানত ট্রেডার্স। প্রতি কেজির আদার আমদানি মূল্য পড়ে শুল্কসহ ৮৬ টাকা। আমদানির চার দিন পর আজ সোমবার, প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালিয়ে প্রতি কেজি আদা ২৩০-২৫০ টাকায় বিক্রির প্রমাণ পান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ১২ টন আদা মজুদ রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তৌহিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বাজারে আদার কৃত্রিম সংকট তৈরি করে একটি চক্র ৮০-৯৬ টাকা কেজিতে কেনা আদা ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন। আমরা তাদের তালিকা তৈরি করে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। তবে তারা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অধিকাংশই দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘আজ শাহ আমানত ট্রেডার্সে অভিযান পরিচালনা করলে প্রতি কেজি আদা ২৩০-২৪০ টাকায় বিক্রির প্রমাণ পাই। এ সময়ে দোকানের মালিক জানান তাদের আদার কোন মজুদ নেই। কিন্ত পরে পেছনের একটি গোডাউন থেকে ১২ টন আদা জব্দ করা হয়। এসময় দোকানদারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে আদা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।’

এছাড়াও একই অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আরও তিন ব্যবসায়ীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গতকাল খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তিন ব্যবসায়ীকে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছিল। আদাসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে পুরো রমজান মাস জুড়েই অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

13h ago