হাইমচরে ‘হটলাইনে’ খাদ্য সহায়তা

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে ‘হটলাইন’ চালু করে স্বেচ্ছাসেবীরা এর মাধ্যমে কর্মহীন দিনমজুর ও জেলে পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে ‘হটলাইনের’ মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবীরা কর্মহীন দিনমজুর ও জেলে পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। ছবি: স্টার

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে ‘হটলাইন’ চালু করে স্বেচ্ছাসেবীরা এর মাধ্যমে কর্মহীন দিনমজুর ও জেলে পরিবারের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।

গত ৫ এপ্রিল থেকে দুটি ‘হটলাইনের’ মাধ্যমে ৫০ তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ২৫টি মোটরসাইকেল দিয়ে নির্ধারিত ঠিকানায় এসব খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন।

আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত গত ২৪ দিনে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার পরিবারে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

‘হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই আয়োজন করা হচ্ছে’ উল্লেখ করে ‘কল সেন্টারের’ দায়িত্বে থাকা দীপু পাটওয়ারী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অন্তত ৩০০ থেকে ৪০০ জন আমাদের কল সেন্টারে ফোন দিয়ে থাকেন। আমরা তাদের নাম-ঠিকানা নিয়ে তাদের বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিই।’

হাইমচরের ছোট লক্ষ্মীপুর গ্রামের কর্মহীন দিনমজুর সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার ভয়ে ঘর থেকে বের হই না। খেয়ে, না খেয়ে ছিলাম। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী হটলাইনের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়ায় এই সুবিধা নিচ্ছি।’

হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা উপজেলা থেকে সরকারিভাবে গত মার্চে হাইমচর উপজেলার ছয় ইউনিয়নের কর্মহীন হয়ে পড়া ২ হাজার ৭৫০ পরিবারে প্রায় ৩২ লাখ টাকার খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ২ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি আটা, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবণ ও ১ কেজি তেলসহ অন্যান্য সামগ্রী দিয়েছি।’

‘পরবর্তীতে গত ৫ এপ্রিল থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুটি হটলাইনের মাধ্যমে ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীর সহযোগিতায় বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। হটলাইনে যোগাযোগকারী প্রতি পরিবারে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু ও ১ কেজি পেঁয়াজ দিচ্ছি। এটি এখনো চলমান রয়েছে।’

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা করোনা মহামারির শেষ সময় পর্যন্ত হাইমচরে এ খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখবো।’

হাইমচর উপজেলা সূত্রে জানা গেছে, হাইমচরে প্রায় ১৬ হাজার জেলে রয়েছেন। ইলিশের পোনা রক্ষায় জেলেরা গত দুমাস ধরে বেকার। তাদের মধ্যে সরকারি খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন ১০ হাজার জেলে। বাকিরা খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত। সরকারিভাবে জেলেদের কেউ কেউ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ত্রাণ সামগ্রী পেলেও অনেকেই এখনো বঞ্চিত রয়েছেন বলে জেলেদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now