ফরিদপুরে পুলিশ সদস্য-নার্সসহ আরও ৪ করোনা রোগী শনাক্ত

ফরিদপুরে পুলিশ সদস্য ও নার্সসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও চার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ১২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
Corona_Detect
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ফরিদপুরে পুলিশ সদস্য ও নার্সসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও চার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ১২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান। তিনি জানান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে স্থাপিত করোনা পরীক্ষা ল্যাবে এই চার জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জন ভাঙ্গা উপজেলা ও একজন ফরিদপুর সদরের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর সদরের যার করোনা শনাক্ত হয়েছে, তিনি কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি একজন পুলিশ সদস্য। তার বয়স ২৮। তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত আছেন। তবে, বর্তমানে ছুটি নিয়ে বাড়িতে রয়েছেন।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ‘ওই পুলিশ সদস্য গত ২৭ এপ্রিল ছুটি নিয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুর এসে করোনা চিকিৎসার জন্য উপাত্ত দেন। এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’

ভাঙ্গায় যে তিন জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাদের মধ্যে দুই জন নারী ও একজন পুরুষ। পুরুষ ব্যক্তির বয়স ৪৩। তিনি উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বাসিন্দা। দুই নারীর মধ্যে একজন ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের নার্স। তার বয়স ৪৩। অপরজনের বয়স ৪০। তিনি আলগী ইউনিয়নের বাসিন্দা।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহসিন উদ্দিন ফকির বলেন, ‘করোনা শনাক্ত হওয়া ওই তিন জনের মধ্যে একজন ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের নার্স। নার্সসহ ওই তিন জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ছাড়া, ওই তিনটি বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের নমুনা নেওয়া হবে পরীক্ষা করার জন্য। পাশাপশি ওই তিনটি বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি বিচ্ছিন্ন করা হবে।’

উল্লেখ্য, ফরিদপুরে এর আগে নগরকান্দা উপজেলায় চার জন এবং সদরপুর, চরভদ্রাসন, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায় একজন করে মোট আট জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে পাঁচ জন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে, একজন ঢাকায় ও বাকি দুই জন বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago