ম্যাকগ্রাকে ধৈর্য দিয়ে কাবু করেছিলেন শচীন

শচীন স্মরণ করলেন এমন এক ইনিংসের কথা, যেখানে তিনি খুব বড় কিছু করেননি। তবে ম্যাকগ্রার আগুনে এক স্পেল সামলে ঠিকই পেয়েছিলেন স্বস্তি।

টেস্টে নামকরা বোলারদের সঙ্গে অনেক দ্বৈরথেই জিতেছেন শচীন টেন্ডুলকার। অজি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রার বিপক্ষেও আছে একাধিক স্মরণীয় স্মৃতি। তবে শচীন স্মরণ করলেন এমন এক ইনিংসের কথা, যেখানে তিনি খুব বড় কিছু করেননি। তবে ম্যাকগ্রার আগুনে এক স্পেল সামলে ঠিকই পেয়েছিলেন স্বস্তি।

১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে গিয়েছিল ভারত। অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্টে অজিদের করা ৪৪১ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে ব্যাটিং পায় ভারত। নামতে না নামতেই ৯ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়। ৯০ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ার পর পাঁচ নম্বরে উইকেটে যান শচীন।

শেষ বিকেলে ভারতের সেরা ব্যাটসম্যানকে নাজেহাল করতে আগ্রাসী কৌশল বেছে নেয় অস্ট্রেলিয়া। অফ স্টাম্প চ্যানেল বরাবর টানা বল করতে থাকেন ম্যাকগ্রা। তার আগুনে ঝাঁজ আর নিখুঁত লাইন-লেন্থে হাঁসফাঁস করতে থাকেন শচীনও।

বিসিসিসিআইর ওয়েবসাইটে দেওয়া এক ভিডিওতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একশো সেঞ্চুরির মালিক জানান, সেদিন যেভাবে তিনি সামলেছিলেন ম্যাকগ্রার রণমূর্তি, ‘দিনের খেলার তখনও ৪০ মিনিট বাকি। ম্যাকগ্রা ওই সময় টানা পাঁচ-ছয় ওভার মেডেন করেছিল।’

‘তাদের কৌশল ছিল আমাকে হতাশ করে দেওয়া। ৭০ শতাংশ বল যাচ্ছিল (উইকেটরক্ষক) অ্যাডাম গিলক্রিস্টের হাতে। আর ১০ শতাংশ আমার ব্যাটের খুব কাছ দিয়ে। বাকি যে বলগুলো ছিল, তাতে ব্যাট লাগালেই আউট হতাম।’

‘তাই আমিও সমানে বল ছাড়ছিলাম। অনেক বলে পরাস্তও হচ্ছিলাম। কিন্তু ম্যাকগ্রাকে বলেছিলাম, “বল ভালো, যাও পরের বল করো, আমি কিন্তু আউট হব না।”’

সেদিনের বিকেলে টিকে গিয়েছিলেন শচীন। পরদিন নেমেই চালান পাল্টা আক্রমণ। ম্যাকগ্রাকে সরিয়ে দেন আক্রমণ থেকে, ‘পরদিন নেমেই ম্যাকগ্রাকে পর পর চার মারি। ওদের পরিকল্পনা ধাক্কা খায়।’

অবশ্য সেই ইনিংসে ১৩৩ বলে ৬১ রানে শেন ওয়ার্নের বলে থামতে হয় শচীনকে। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ম্যাকগ্রার বলেই আউট হন শচীন। ভারতও ম্যাচটা হারে বড় ব্যবধানে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউনের এক স্মৃতিও বিশেষ জায়গা করে রেখেছে শচীনের মনে। সেবার ডেল স্টেইন আর মরনে মরকেল ৫৮ মিনিট ধরে নাজেহাল করে রেখেছিলেন শচীন ও গৌতম গম্ভীরকে। কিন্তু ধৈর্য ধরে ওই সময়টা পার করে পরে সাফল্য আনেন তিনি। মাস্টার এই ব্যাটসম্যানের মতে, ‘কঠিন সময়টা দাঁত কামড়ে পড়ে থাকলে বাকিটা সময় তোমার।’

তবে সবকিছুর ভিড়ে ওয়ার্নের সঙ্গে দ্বৈরথই সবচেয়ে এগিয়ে রাখেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান, ‘ওয়ার্নের সঙ্গে আমার লড়াই ছিল বিশেষ কিছু। সে রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে কঠিন মুহূর্তে ভড়কে দিত। তাই আমি সেভাবে প্রস্তুতি নিতাম। একবার সিরিজের আগে মুম্বাইতে প্রস্তুতি ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করলাম। সেখানে সে একবারও রাউন্ড দ্য উইকেটে আসেনি। তার পরিকল্পনা ছিল আসল সময়ে তা করার। আমিও সেভাবে নিজেকে তৈরি রাখতাম।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago