মানিকগঞ্জে স্বাস্থ্যকর্মীসহ করোনায় আক্রান্ত আরও ২
মানিকগঞ্জে স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরও দুজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭ জনে।
আজ বুধবার সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
আক্রান্তদের মধ্যে একজনের বাড়ি ঘিওর উপজেলায় এবং অপরজন মানিকগঞ্জ সদরের।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন আক্তার জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান। তাকে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আজ বুধবার পরিবারের অপর ছয় সদস্যসহ হাসপাতালে কর্মরত তার সংস্পর্শে আসা সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।
ইতিমধ্যে, আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ির আশপাশের সাতটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার টিন পট্টিতে একজনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। তার পরিবারের আরও সদস্য আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘মানিকগঞ্জ জেলা শহরে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের আরও তিন সদস্য এর আগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে ওই পরিবারের চার জন করোনায় আক্রান্ত হলেন।’
তিনি জানান, ওই পরিবারের এক নারী প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হন। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে, ওই পরিবার এবং তার সংস্পর্শে আসা ১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পর্যায়ক্রমে তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ওই পরিবারের চার জনের দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায়। আক্রান্ত চার জনের মধ্যে একজন ঢাকায় এবং তিনজন নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
তাদের সকলের শারীরিক অবস্থা ভালো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাড়িতে আইসোলেশনে যারা আছেন প্রতিদিন দুইবার তাদের খোঁজ-খবর রাখছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।’
মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষায় দুজনের করোনা পজিটিভ এবং বাকীদের নেগেটিভ আসে। এ পর্যন্ত জেলায় ৬২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।’
আক্রান্তদের মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সাত জন, সিংগাইর উপজেলার ছয় জন, ঘিওর উপজেলার দুজন, শিবালয় উপজেলার একজন এবং সাটুরিয়া উপজেলার একজন রয়েছেন। এদের মধ্যে তিন জন চিকিৎসক, দুজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ১১ মাসের এক শিশু রয়েছে।
Comments