ডেঙ্গুকে উপেক্ষা করবেন না
সারা দেশ প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে আছে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে। কিন্তু এখন সময় ডেঙ্গু বিস্তারের। কয়েক সপ্তাহ আগেই আমরা করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত প্রশাসনকে সতর্ক করেছিলাম এই মৌসুমি রোগের ব্যাপারে। প্রতি বছর আমরা এই রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হই। সুতরাং, এর কথাও স্মরণে রাখতে হবে।
এ বছর অসময়ে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রজনন সহজ করেছে। গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছয় অংক ছাড়িয়ে যায়। যার অর্ধেকই রাজধানী ঢাকার। মোট আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মারা গেছেন ১৭৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গত রবিবার পর্যন্ত সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কমপক্ষে ২৯২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
দেশে ডেঙ্গু ঝুঁকি আসার এ চেয়ে খারাপ সময় আর হতে পারে না। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যখন কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ব্যস্ত তখন বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গু। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে লকডাউনের কারণে ডেঙ্গুর বিস্তার বন্ধ করাও জটিল হয়ে উঠেছে। সিটি করপোরেশনগুলোর জনবল ঘাটতির কারণে রাজধানীতে মশক নিধন কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়েছে।
আমরা এটা জানাতে পেরে খুশি যে সরকার ডেঙ্গু মোকাবিলার জন্য একটি ‘ডেঙ্গু মনিটরিং সেল’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, কোনো প্রকার দেরি না করে এ জাতীয় সেল গঠন করা উচিত ছিল। দুটি সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক সামগ্রী দিয়ে পুরোদমে কাজে লাগিয়ে দিতে হবে। সময়োপযোগী এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক হয়ে যাবে। তাদের মতে, কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয় তাহলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। যা করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে আরেকটি বিপদ হয়ে দাঁড়াবে।
Comments