আইসিইউ কার্যকর করতে এত সময় লাগছে কেন?

এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড ১৭টি হাসপাতালে এখনও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (আইসিইউ) সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়নি। ১৭টির মধ্যে বেশিরভাগ হাসপাতালে ভেন্টিলেটর স্থাপন করা হলেও মনিটর, পালস অক্সিমিটার, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবের আইসিইউগুলো চালু করা যায়নি।

জানা যায়, একটি আইসিইউ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য ১২ ধরণের সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। যা এই বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে নেই। যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে প্রতিদিন এসব হাসপাতালে রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগ আসছে। মারা যাওয়া রোগীর পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন যে তাদের প্রিয়জনরা বিশেষায়িত করোনা হাসপাতালে আইসিইউ তো দূরে থাক, শ্বাসকষ্টের সময় অক্সিজেনও পাননি।

গত মাসে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-চীনের যৌথ প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোভিড-১৯ আক্রান্ত পাঁচ শতাংশ রোগীর কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রয়োজন হয় এবং আরও ১৫ শতাংশের জন্য প্রয়োজন হয়  অক্সিজেন। যার অর্থ প্রায় ২০ শতাংশ রোগীর আইসিইউ প্রয়োজন। পুরোপুরি কার্যকর আইসিইউ ছাড়া এই জাতীয় গুরুতর রোগীর জীবন বাঁচানো প্রায় অসম্ভব।

কোভিড-১৯ চিকিত্সার জন্য অল্প কয়েকটি হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা যুক্ত করতে সরকারের এত দীর্ঘ সময় কেন লাগছে তা বোধগম্য নয়। দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার দেড় মাস পেরিয়ে গেছে এবং প্রতিদিন বাড়ছে মৃতের সংখ্যা এবং নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।

আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অনুরোধ করছি, হাসপাতালগুলোতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করার জন্য। যাতে করে সেগুলো দ্রুত কার্যকর করা যায়। রাজধানীর বাইরে যেসব হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য খুব অল্প সংখ্যক আইসিইউ  শয্যা আছে, সেগুলোর দিকেও নজর দেওয়া দরকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। এর পাশাপাশি আইসিইউ রোগীদের চিকিৎসার জন্যে জনবল সঙ্কটেরও সমাধান করা জরুরি। সরকার যদি আইসিইউগুলো কার্যকর করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে হয়তো আমরা আগামী দিনে করোনায় আরও বেশি মৃত্যু দেখতে হতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Govt at it again, plans to promote retirees

"A list of around 400 retired officials is currently under review though it remains unclear how many of them will eventually be promoted"

10h ago