কর্মস্থলে ফিরতে ফেরি-মহাসড়কে পোশাক শ্রমিকদের ভিড়
‘যে কোনোভাবে পৌঁছতে হবে কর্মস্থলে। নইলে চাকরি হারাতে হবে। চাকরি রক্ষা আর পেটের তাগিদে ভুলেই গেছেন করোনাভাইরাসের প্রকোপ আর সামাজিক দূরত্বের কথা’- এভাবেই বলছিলেন ঢাকামুখী পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকরা বলেন, তাদের মোবাইল ফোনে এসএমএস এসেছে কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে। নইলে কর্তৃপক্ষ তাদের জায়গায় বিকল্প লোক নিয়োগ দেবে।
গত ২৪ এপ্রিল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের পোশাক কারখানায় যোগ দিতে ছুটছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার হাজারো শ্রমিক।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পোশাক-শ্রমিকদের ভিড় ছিল পাটুরিয়া ফেরিঘাট এবং ঢাকা আরিচা মহাসড়কে। ঘাট এলাকায় প্রশাসনের নজরদারি উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনে গাদাগাদি করে চেপে ফিরছেন কর্মস্থলে।
রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপে চড়ে প্রায় ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে আসতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
তাদের অভিযোগ, করোনার সংক্রমণ রোধে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা জিম্মি হয়ে পরছেন এসব গাড়িচালকদের কাছে। পাটুরিয়া থেকে নবীনগর ও গাবতলী পর্যন্ত গণপরিবহনে ৬০ থেকে ৯০ টাকা ভাড়ার বিপরীতে ওইসব গাড়ির চালকরা নিচ্ছেন ৫০০ টাকা আর মোটরসাইকেলে দুই জনের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১২শ টাকা করে।
অভিযোগ উঠেছে ভিড়ের সুযোগে ঘাট ইজারাদারও বাড়িয়ে দিয়েছেন টোল। আদায় করছেন নির্ধারিত টোলের দ্বিগুণ। আগত যাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞেস করা হলে, পাটুরিয়া ঘাটে লুস যাত্রী ইজারাদারের ম্যানেজার লিটন দেবনাথ জানালেন তিনি বিষয়টি জানেন না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থা-বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম জানান, জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক আর অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের জন্য সীমিত আকারে ফেরি সার্ভিস চালু রাখা হয়েছে। কিন্তু পোশাক কারখানা খোলা থাকায় হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ ফেরিতে পার হওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন। এই সেক্টরে ৫টি ফেরি চালু রয়েছে। বাকিগুলো নোঙর করে রাখা হয়েছে।
Comments