মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন উমর আকমল!
আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ধারা ভঙ্গের দায়ে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া উমর আকমল মৃগী রোগী ছিলেন! চিকিৎসা নিতেও আপত্তি ছিল পাকিস্তানের বিতর্কিত এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের! এমন বিস্ময়কর দাবি করেছেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাবেক চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি।
গেল সোমবার উমরকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে পিসিবি। দুর্নীতির প্রস্তাব পেয়েও তা গোপন করার দায়ে তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সবশেষ পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) শুরুর আগে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত পিসিবির চেয়ারম্যান ও কার্যনির্বাহী কমিটির প্রধান ছিলেন নাজাম। আর দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই উমরের রোগের কথা জানতে পেরেছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলকে নাজাম বলেছেন, ‘মেডিকেল রিপোর্ট থেকে আমরা নিশ্চিত হয়েছিলাম যে, তার মৃগী রোগ আছে এবং এটা জানার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে আমরা তাকে ফিরিয়ে আনি। যখন তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল, আমি তাকে বলেছিলাম যে, এটি গুরুতর সমস্যা। খেলা থেকে তার বিরতি নেওয়া দরকার এবং উপযুক্ত চিকিৎসা নেওয়া উচিত। কিন্তু সে এটা মানতে রাজি ছিল না। সে মানসিকভাবে (মেনে নেওয়ার মতো) তেমন অবস্থায় ছিল না।’
‘যাই হোক, আমি তাকে দুই মাসের জন্য খেলার বাইরে রেখেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে মেডিকেল রিপোর্টটি আমি নির্বাচকদের কাছে পাঠাই এবং সিদ্ধান্ত নেওয়াটা তাদের ওপরই ছেড়ে দেই। কারণ, আমি তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করতে চাইনি।’
গেল ২০ ফেব্রুয়ারি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে উমরকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে পিসিবি। এরপর গেল ২০ মার্চ উমরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী দুটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। তবে পিসিবির আনা অভিযোগের বিপক্ষে লড়াই করেননি তিনি। ফলে আনুষ্ঠানিক কোনো শুনানির প্রয়োজন পড়েনি। শৃঙ্খলা কমিটি তাকে সরাসরি শাস্তি দিয়েছে।
নাজাম আরও দাবি করেছেন, দারুণ প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও উমর কেবল নিজের জন্যই খেলেন, ‘সে দলের নিয়মশৃঙ্খলা কখনোই মানতে চায় না। সে এমন একজন খেলোয়াড়, যে কেবল নিজেকে নিয়ে ভাবে। সে নিজের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়। কোনো নিয়মশৃঙ্খলারই তোয়াক্কা করে না সে।’
পাকিস্তানের হয়ে ১৬ টেস্ট, ১২১ ওয়ানডে ও ৮৪ টি-টোয়েন্টি খেলা উমরের ক্রিকেটীয় ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত নাজাম বলেছেন, ‘আমার ভয় হচ্ছে, তার ক্যারিয়ার নিয়ে এখন শঙ্কা জেগেছে। আমার ধারণা, এটাই তার জন্য শেষ। তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা তার জন্য অবধারিত ছিল। কারণ, সে কখনোই নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলেনি।’
Comments