কিমের মৃত্যু ‘৯৯ শতাংশ’ নিশ্চিত উ. কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা দ. কোরিয়ার আইনপ্রণেতা

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মৃত্যুর ব্যাপারে ‘৯৯ শতাংশ’ নিশ্চিত দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতা জি সিয়োং হো। তার দাবি, গত সপ্তাহে অস্ত্রোপচারের পর মারা গেছেন কিম জং উন।
Kim Jong Un.jpg
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মৃত্যুর ব্যাপারে ‘৯৯ শতাংশ’ নিশ্চিত দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতা জি সিয়োং হো। তার দাবি, গত সপ্তাহে অস্ত্রোপচারের পর মারা গেছেন কিম জং উন।

গত তিন সপ্তাহ ধরে জনসমক্ষে না আসায় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। তার স্বাস্থ্যের অবনতি, এমনকি তার মৃত্যুর গুঞ্জনও শোনা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি ওয়েবসাইটে কিমের পরিবারের জন্য সংরক্ষিত একটি ট্রেনের ছবি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, গত ২১ এপ্রিল থেকে ওনসান শহরের একটি রেলস্টেশনের বাইরে ট্রেনটি পার্ক করে রাখা হয়েছে।

দ্য কোরিয়া হ্যারল্ড জানায়, প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমে তার মৃত্যুর গুঞ্জন তোলেন জি সিয়োং হো। জন্ম উত্তর কোরিয়ায় হলেও সেখান থেকে পালিয়ে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাস করতে শুরু করেন। গত ১৫ এপ্রিল দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচনে তিনি একটি আসনে জয়ী হন। 

জি সিয়োং হো দাবি করেছিলেন, এ সপ্তাহের শেষেই কিমের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করবে উত্তর কোরিয়া।

আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপকে তিনি বলেন, ‘আমি খবর পেয়েছি কিমের কার্ডিওভাসকুলার সার্জারি সফল হয়নি। গত সপ্তাহে কিম মারা গেছেন বলে আমি কয়েকটি সূত্রে খবর পেয়েছিলাম। আমি এ ব্যাপারে এখনো ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত।’

উত্তর কোরিয়া উত্তরাধিকার নিয়ে জটিলতায় পড়েছে বলেও ধারণা করছেন তিনি।

কোন সূত্রে এ খবর পেয়েছেন তা জানাননি জি সিয়োং হো। তিনি বলেন, ‘অনেকেই ধারণা করছেন, কিমের ছোটবোন কিম ইয়ো জং পদত্যাগ করতে পারেন বলে দেশটিতে উত্তরাধিকার নিয়ে জটিলতা চলছে।’

তবে, দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বলছে, উত্তর কোরিয়ার সরকারি কার্যক্রমে তারা অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করেনি। কিমের গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কোনো ইঙ্গিত সরকারি কার্যক্রমে দেখা যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut amid worker unrest along the industrial belts yesterday, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

1h ago