গভীর রাতে বাস ধরে অনুশীলনে যেতেন পান্ত
ভারতের ক্রিকেটের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ব্যাটসম্যানদের একজন ঋষভ পান্ত। দারুণ প্রতিভা আর আগ্রাসী ব্যাটিং নিয়ে তিনি এখন নতুন সেনসেশন। মহেন্দ্র সিং ধোনির অভাব পূরণে উইকেটকিপিং গ্লাভসটাও তার হাতে। তবে সাফল্যের আলোয় আসার পথটা মসৃণ ছিল না তার। জানালেন, একটা সময় কেবল অনুশীলন করতেই কতটা কষ্ট করতে হয়েছে তাকে।
করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির সময়ে পিছিয়ে গেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ (আইপিএল)। কিন্তু আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সময়টা কাজে লাগাচ্ছে নিজ নিজ দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে আড্ডায়। দিল্লি ক্যাপিটালের পান্ত তেমনি এক ইন্সটাগ্রাম লাইভে যোগ দিয়েছিলেন।
সেখানেই জানান, ভারতের পিছিয়ে পড়া অঞ্চল উত্তরখণ্ড থেকে তার উত্থানের গল্প, ‘উত্তরখণ্ডে তখন কোন ক্রিকেট দল ছিল না। অনুশীলনের সুবিধা ছিল না। তাই রাত দুটোয় দিল্লির বাস ধরতাম, দিল্লি আসতে ছয় ঘণ্টা লেগে যেত। শীতের সময় সব থাকত কুয়াশাছন্ন। অনেক কষ্ট সয়েছি। তবে জানতাম সাফল্য পেতে হলে এমন কষ্ট করা লাগবে।’
সাফল্য ধরাও দিয়েছে এই তরুণের। কুয়াশা কেটে ফুটেছে আলো। আইপিএল মাতানোর পর ভারতীয় দলেও ঠাঁই হয় তার। খেলে ফেলেছেন ১৩ টেস্ট, ১৬ ওয়ানডে আর ২৮ টি-টোয়েন্টি।
মারকাটারি ব্যাটিংয়ের ধরণের কারণে টি-টোয়েন্টিতেই তিনি বেশি মাননসই। কিন্তু বিস্ময়করভাবে এখন পর্যন্ত টেস্টেই সাফল্য বেশি তার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই সেঞ্চুরির, দুটোই টেস্টে করেছেন তিনি। কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে সীমিত পরিসরে লোকেশ রাহুল আর সাদা পোশাকে ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে লড়াই তার। ঋদ্ধিমানের বয়স ৩৬ বছর পেরিয়ে যাওয়ায় এই সংস্করণে তার সম্ভাবনাও বেশি।
২২ বছরের বাঁহাতি তরুণ জানালেন টেস্ট নাকি তার নিজেরও বেশি পছন্দের, ‘আমি টেস্ট খেলতেই বেশি ভালোবাসে। কারণ সেখানে সময় পাওয়া যায়। বোঝা যায় ক্রিকেটার হিসেবে কোথায় আছি। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে যখন নামি তখন বুঝেছিলাম এটাই আসল পরীক্ষা। এখন পাঁচ দিনের টেস্ট খেলার পর বুঝলাম অনেক বাড়তি পরিশ্রম করতে হবে।’
টেস্টে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে সাত নম্বরে নেমে দ্রুত রান আনার স্টাইলে পান্তের সামনে আদর্শ আছেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। পান্ত এই অস্ট্রেলিয়ান গ্রেটকে অনুকরণ নয়, করতে চান অনুসরণ।
Comments