সাইফ স্পোর্টিংয়ের ওপর ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ফিফা

তিনজন বিদেশি খেলোয়াড়ের ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে জরিমানা করা হয়েছিল দলটিকে। জরিমানার অর্থ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে না পারায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার শৃঙ্খলা কমিটি।
saif sporting club
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম শক্তিশালী দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ওপর ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ফিফা। তিনজন বিদেশি খেলোয়াড়ের ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে জরিমানা করা হয়েছিল দলটিকে। জরিমানার অর্থ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে না পারায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার শৃঙ্খলা কমিটি।

শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পক্ষ থেকে ফিফার নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে। জরিমানা হিসেবে প্রায় এক লাখ ডলার প্রদান করার আগ পর্যন্ত স্থানীয় হোক বা বিদেশি, কোনো খেলোয়াড়ই রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না সাইফ।

মূল ঘটনা প্রায় তিন বছর আগের ঘটনা। সাইফের হয়ে খেলতে ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন তিন বিদেশি ফুটবলার। কিন্তু তাদের খেলার মান ও আচরণ নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি দলটি। তাই রেজিস্ট্রেশন না করিয়েই বিদায় করে দেওয়া হয়েছিল তাদেরকে। এরপরও দেনা-পাওনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি গোলমাল ছিল।

এর প্রেক্ষিতে তিন ফুটবলার স্লোভাকিয়ার মার্কো ভিলিয়াম, মন্টেনেগ্রোর সাভা গার্দাসেভিচ ও সার্বিয়ার গোরান ওব্রাদোভিচ আলাদাভাবে অভিযোগ করেছিলেন ফিফার কাছে। এরপর গেল ১৩ থেকে ২৩ মার্চের মধ্যে খেলোয়াড়দের পক্ষে তিনটি আলাদা আলাদা রায় দেয় সংস্থাটির শৃঙ্খলা কমিটি। সবমিলিয়ে প্রায় এক লাখ ডলার জরিমানা করা হয় সাইফকে।

রায় প্রকাশের পর থেকে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে জরিমানার অর্থ বাফুফের মাধ্যমে ফিফাকে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয়েছে সাইফ।

প্রিমিয়ার লিগের দলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ফিফার বিধিমালা পুরোপুরি বোঝার ক্ষেত্রে কিছুটা ঘাটতি ছিল তাদের। তারই সুযোগ নিয়েছেন ওই তিন বিদেশি ফুটবলার।

দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেছেন, ‘তিনজন খেলোয়াড়কে আমাদের সাবেক কোচ নিকোলা কাভাজোভিচ ট্রায়ালে এনেছিলেন। তাদের কাছে আইটিসি (ফুটবলারদের ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) ছিল না। তাদের রেজিস্ট্রেশনও ছিল না। তারা ভালো মানের ফুটবলার ছিল না এবং উচ্ছৃঙ্খল ছিল। তাই আমরা ট্রায়ালের এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। তবে তারা অবশ্যই ফিফার কাছে আমাদের ক্লাবের সঙ্গে কোনো না কোনো চুক্তির কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছিল।’

নাসিরুদ্দিন আরও জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বাংলাদেশের ব্যাংকিং লেনদেনে জটিলতা তৈরি হওয়ায় তারা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে পারেননি। আর চলমান অচলাবস্থা কেটে গেলেই তারা সমস্যা সমাধান করে ফেলবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago