এবার সরাসরি ম্যানসিটি ছাড়ার ইঙ্গিত দলেন ডি ব্রুইন
উয়েফার ক্লাব লাইসেন্স ও ফেয়ার প্লে নীতির ‘মারাত্মক লঙ্ঘন’ করায় দুই বছরের জন্য ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ ম্যানচেস্টার সিটি। ফলে দুই বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারবে না তারা। যদিও এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আবেদন করছে ক্লাবটি। তবে শেষ পর্যন্ত যদি দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে তাহলে ক্লাব ছেড়ে দিবেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইন।
তবে এর আগে ডি ব্রুইনের দল ছাড়ার গুঞ্জন উঠেছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে সিটিকে দুই মৌসুমের জন্য নিষিদ্ধ করে ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। পাশাপাশি আড়াই কোটি পাউন্ড জরিমানাও করা হয়। তখনই বেলজিয়ামের গণমাধ্যম স্পোর্ত/ফুটে এ নিয়ে বিশাল প্রতিবেদন ছাপা হয়। ইংলিশ গণমাধ্যমেও উঠে আসে। তবে এবার নিজেই জানালেন ব্রুইন।
অবশ্য ইএসপিএনের সূত্র মতে, ডি ব্রুইনসহ আরও বেশ কিছু খেলোয়াড়কে সিটিতে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনায় পড়েছেন। অপেক্ষা করছেন আবেদনের পর কি সিদ্ধান্ত দেয় উয়েফা তা দেখার। সম্প্রতি বেলজিয়ান গণমাধ্যম হেত লাতস্তে নিয়েউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডি ব্রুইন বলেছেন, 'ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এটা (নতুন সিদ্ধান্ত) দেখতে চাই। দুই বছর (চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে) দূরে থাকা অনেক লম্বা সময়। এক বছর হলে কোনো রকমে মানিয়ে নেওয়া যাবে।'
তবে ক্লাব থেকে ব্রুইনকে বলা হয়েছে তাদের কার্যক্রম সব ঠিক আছে। আর এ বেলজিয়ান মিডফিল্ডারও তাদের বিশ্বাস রয়েছে বলেই জানালেন, 'ক্লাব আমাকে বলেছে তারা সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আবেদন করবে এবং তারা শতভাগ নিশ্চিত যে তাদের সব কিছু ঠিক আছে। আমারও ক্লাবের প্রতি আত্মবিশ্বাস রয়েছে। যদি তারা এটা সত্যি বলে থাকে তাহলে আমি তাদের বিশ্বাস করব। আমরা অপেক্ষা করব এবং দেখব কি হয়।'
যদিও সিটির সঙ্গে চুক্তি এখনও দুই বছরের চুক্তি রয়েছে ডি ব্রুইনের। আগামী ২০২৩ এর জুন পর্যন্ত থাকার অঙ্গীকার করেই গার্দিওলার দলে যোগ দিয়েছিলেন। দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে হাতছাড়া না করতে এখনই চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চাইছে ক্লাবটি। সপ্তাহে সাড়ে ৩ লাখ পাউন্ড বেতন দেওয়ার আকর্ষণীয় প্রস্তাবও দিয়েছে। কিন্তু তাতে মন গলেনি ডি ব্রুইনের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি না পেলে দল ছাড়বেন, তা পরিষ্কারভাবে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে স্পন্সরশিপ রাজস্ব থেকে আয়কৃত মোট অর্থের সঠিক হিসাব দেয়নি ম্যানসিটি। ক্লাব কর্তৃপক্ষ অর্থের অঙ্ক ‘বাড়িয়ে’ বলে। পাশাপাশি দলটির বিরুদ্ধে তদন্ত কাজে ‘সহায়তা না করার’ অভিযোগও আনে উয়েফা। মূলত ২০১৮ সালের নভেম্বরে জার্মান সংবাদপত্র ‘ডার স্পিগেল’ তাদের একটি প্রতিবেদনে এ সকল গোপন নথি প্রকাশ করে। এরপরই ক্লাবটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সংস্থাটি।
Comments