বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানোর ধারা বজায় রাখবে ভারত: রাজ্জাক

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে প্রতিবারই ভারতের কাছে নাস্তানাবুদ হতে হয় তাদের। কেন বারবার হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পাকিস্তানকে? নিজের বিশ্লেষণ জানিয়েছেন দলটির সাবেক তারকা অলরাউন্ডার আব্দুল রাজ্জাক।
razzaq india
ছবি: এএফপি

ওয়ানডেতে দুদলের মুখোমুখি দেখায় বেশ ভালো ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান। কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে নামলেই পাল্টে যায় হিসাবনিকাশ। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে প্রতিবারই ভারতের কাছে নাস্তানাবুদ হতে হয় তাদের। কেন বারবার হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পাকিস্তানকে? নিজের বিশ্লেষণ জানিয়েছেন দলটির সাবেক তারকা অলরাউন্ডার আব্দুল রাজ্জাক। তিনি আরও মনে করেন, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের ধারা টিকিয়ে রাখবে ভারত।

৫০ ওভারের ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত মোট ১৩২ বার পরস্পরকে মোকাবিলা করেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। জয়ের পাল্লা ভারী রাজ্জাকদের পক্ষে। তারা জিতেছেন মোট ৭৩ ম্যাচে। বিপরীতে ভারতীয়দের জয় ৫৫টিতে। বাকি চার ম্যাচে কোনো ফল হয়নি। অথচ বিশ্বকাপে একবারও ভারতের বিপক্ষে জেতার স্বাদ পাওয়া হয়নি পাকিস্তানের। দুদলের মধ্যকার সাত ম্যাচের সবকটিতে হেরেছে তারা। গেল বছর সবশেষ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও ৮৯ রানের বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাদের।

পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সদস্য হিসেবে রাজ্জাকেরও হয়েছে তিক্ত অভিজ্ঞতা। মর্যাদার লড়াইয়ে হেরে মলিন চেহারা নিয়ে তিনবার বৈরী প্রতিবেশীদের চোখের সামনে উল্লাস করতে দেখেছেন তিনি। ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০১১ আসরে। সেই দুঃসহ স্মৃতি হাতড়ে ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘(বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে প্রতিবারই হারানোর) এই রেকর্ড ভারত ধরে রাখবে।’

রাজ্জাকের মতে, স্নায়ুচাপ জয় করতে না পারার কারণেই বারবার ব্যর্থতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদেরকে, ‘আইসিসি আসরে পাকিস্তান ও ভারতকে নক-আউট পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হতে দেখাটা প্রায় বিরল ঘটনা। সাধারণত গ্রুপ পর্বে দেখা হয় দুদলের। সেখানে ভারত ফেভারিট থাকে। এই ম্যাচটা যে চাপ সঙ্গে করে নিয়ে আসে, আমাদের খেলোয়াড়রা তা নিতে পারে না।... আমার ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের কথা মনে আছে। দেশের মানুষ আর গণমাধ্যম খেলার আগেই আমাদের ভীষণ চাপে ফেলে দিয়েছিল। আমরা তাতে ভেঙে পড়েছিলাম।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago