রোহিঙ্গা ডাকাতের হাতে জিম্মি বাঙালি কৃষকদের উদ্ধারে স্থানীয়রা

Coxsbazar_DS_Map.jpg
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় রোহিঙ্গা ডাকাত দলের হাতে জিম্মি দুই বাঙালি কৃষককে মুক্ত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও পাহাড়ে অভিযান চালাতে শুরু করেছে।

আজ রবিবার দিনব্যাপী আটটি দলে ভাগ হয়ে পুলিশ ও স্থানীয় পাঁচ শতাধিক বাসিন্দা অপহৃত দুই জনকে উদ্ধার করতে দুর্গম পাহাড়ে অভিযান চালায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত ২৯ এপ্রিল রাতে উপজেলার হয়াইক্যং ইউনিয়নের মীনাবাজার এলাকার একটি ধানখেত থেকে রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমের সশস্ত্র বাহিনী টেকনাফের স্থানীয় ছয় কৃষককে অপহরণ করে দুর্গম পাহাড়ে নিয়ে যায়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিপণ হিসেবে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে আবুল হাশেম এবং তার দুই ছেলে জামাল উদ্দীন ও রিয়াজ উদ্দীনকে ডাকাতরা ছেড়ে দেয়।

বাকি তিন জনের মুক্তিপণ হিসেবে প্রথমে তিন লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তারা জানায়, ২০ লাখ টাকা না দিলে তাদের মুক্তি দেওয়া হবে না। গত ১ মে ভোরে হয়াইক্যংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে পাহাড় থেকে থেকে আক্তার উল্লাহ নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার পরে ডাকাত সদস্যরা মোবাইল ফোনে আক্তার উল্লাহর স্বজনদের জানায়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে হয়াইক্যং ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করেন। এখন তাদের হাতে মোহাম্মদ শাহেদ (২৫) ও মোহাম্মদ ইদ্রিস (২৭) নামে দুই কৃষক জিম্মি আছেন— জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘আজ দুপুরেও অভিযান চালানো হয়েছে। পুলিশের আটটি দল পাহাড়ের বিভিন্ন দিক থেকে অভিযান চালাচ্ছে। ডাকাতদের কিছু আলামত আমরা সংগ্রহ করেছি। খুব তাড়াতাড়ি অপহৃত দুজনকে উদ্ধার করা হবে।’

টেকনাফের হয়াইক্যং ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি হারুনুর রশিদ সিকদার বলেন, ‘আজ পুলিশকে সহায়তা করতে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযানে অংশ নিয়েছিল।’

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

8h ago