‘যাদের আয়ের পথ নাই, তাদের জন্যও নগদ আর্থিক সহায়তা ঈদের আগে দিতে চাই’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাদের আয়-উপার্জনের পথ নাই, তাদের জন্যও আমরা কিছু নগদ আর্থিক সহায়তা ঈদের আগে দিতে চাই। অন্তত পক্ষে রোজা বা ঈদের সময় তারা যেনো কিছু সহযোগিতা পায়। সেই ব্যবস্থাটা আমরা করবো। যাতে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাদের আয়-উপার্জনের পথ নাই, তাদের জন্যও আমরা কিছু নগদ আর্থিক সহায়তা ঈদের আগে দিতে চাই। অন্তত পক্ষে রোজা বা ঈদের সময় তারা যেনো কিছু সহযোগিতা পায়। সেই ব্যবস্থাটা আমরা করবো। যাতে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।’

আজ সোমবার সকাল ১১টায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গণভবন থেকে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার অনুরোধ থাকবে, বিনা কারণে ঘরের বাইরে যাওয়া, অনেক সময় দেখি আমাদের অনেক ছেলেরা এখানে-ওখানে বসে গালগল্প, আড্ডা মারা, এগুলো সব বন্ধ করতে হবে। কারণ কার মধ্যে এই রোগটা বা জীবাণুটা আছে আপনি জানেন না। সেখান থেকে সংক্রামিত হতে পারেন এবং যেটা অনেক সময় মৃত্যুর কারণ ঘটতে পারে। সে জন্য নিজেকে আপনারা সুরক্ষিত রাখার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।’

তিনি বলেন, ‘সবাইকে সুরক্ষিত করবার জন্য সরঞ্জামের কোনো অভাব আমাদের নাই। সেগুলো আমরা যেমন বাইরে থেকে আনছি, অনেকে আমাদের অনুদান দিচ্ছে, আবার আমরা এখানে নিজেরাও তৈরি করছি, সেভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমি এটুকু বলবো, আমাদের মিডিয়াকর্মীসহ যারা আছেন, তারাও কিন্তু নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখবেন। ইতোমধ্যে কয়েকজন মিডিয়াকর্মীও আমি দেখেছি তারাও আক্রান্ত হয়েছে। এ জন্য সবাইকে সুরক্ষিত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’

‘আমাদের যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল থাকে, যারা ইতোমধ্যে ঋণ নিয়েছেন, বড় ঋণ থেকে একেবারে ক্ষুদ্র ঋণ পর্যন্ত, ছোট ছোট যারা ঋণ নিয়েছেন, সবার ঋণের সুদ যেহেতু এই দুইটা মাস কোনো কাজ ছিল না, ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল না, কাজেই ঋণের এই সুদ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। .....’, যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি, যা আমাদের জিডিপির প্রায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশের মতো। এক্ষেত্রে আমরা চাচ্ছি, আমাদের যারা যেখানেই যেই ব্যবসা-বাণিজ্য করুক, তারা যাতে সেটা সচল রাখতে পারে। সেই সুবিধাটা দেওয়ার জন্য আমরা এ ব্যবস্থাটা নিয়েছি। ইতোমধ্যে আপনারা জানেন আমরা ৫০ লাখ মানুষকে রেশন কার্ড দিয়ে থাকি। ১০ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে পারে। আমরা আরও ৫০ লাখ মানুষকে এ সুবিধাটা দেবো। তার তালিকাটা হয়ে গেছে।’

‘তা ছাড়া, কিছু আছে আমাদের যেমন: যেহেতু পরিবহন একেবারে বন্ধ, আমাদের সড়ক পরিবহন, নৌপরিবহন থেকে শুরু করে অনেক ক্ষেত্রে এমনকি রেলও বন্ধ ছিল। রেল আমরা সীমিত আকারে চালু করে দিয়েছি। সেখানে পণ্য পরিবহন এবং পোস্ট অফিসের যেসব কেউ যদি অনলাইনে অর্ডার করে বা পোস্ট অফিসে যেগুলো যাবে, সে পর্যন্ত সীমিত আকারে রেলও আমরা চালু করে দিয়েছি। অর্থাৎ প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা বেশি লোকসমাগম না করেও কিন্তু এগুলো যাতে চালু হয়, সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। ... আয়-উপার্জনের পথ নাই, তাদের জন্যও আমরা কিছু নগদ আর্থিক সহায়তা ঈদের আগে দিতে চাই। অন্তত পক্ষে রোজা বা ঈদের সময় তারা যেনো কিছু সহযোগিতা পায়। সেই ব্যবস্থাটা আমরা করবো। যাতে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়’, বলেন তিনি।

আরও পড়ুন:

‘সরকারি অফিস-আদালত সীমিত আকারে চালু করে দিচ্ছি, যাতে মানুষের কষ্ট না হয়’

 

Comments

The Daily Star  | English

Public medical colleges: 86 doctors, 136 students punished since August 5

Over the last two months, at least 86 physicians and 136 students in eight public medical colleges and hospitals across the country have faced different punitive actions on various allegations, including “taking a stance against” the quota reform movement.

7h ago