বনগাঁ তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলনে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের বনগাঁ তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলনের কারণে আজ সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। এতে উভয় দেশের সীমান্তে আটকা পড়ে নষ্ট হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও পচনশীল পণ্য।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের চেকপোস্ট। ছবি: সংগৃহীত

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের বনগাঁ তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলনের কারণে আজ সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। এতে উভয় দেশের সীমান্তে আটকা পড়ে নষ্ট হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও পচনশীল পণ্য।

করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ৪১ দিন বন্ধ থাকার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছিল।

গত দুই দিনে ভারত থেকে ১৫ ট্রাক পাট বীজ, মেস্তা বীজ ও ভুট্টা বীজ আমদানি হয়। লাইনে রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয়সহ বহু পণ্যসামগ্রী।

আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দর চালু রয়েছে সার্বক্ষণিক। মাঝে মধ্যে বন্দর থেকে দু-চারটি চালান ডেলিভারি হচ্ছে যথা নিয়মে। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, সীমান্তের ওপারে পেট্রাপোল বন্দরের সেন্ট্রাল পার্কিং থেকে পণ্যবোঝাই ভারতীয় ট্রাক নো-ম্যানসল্যান্ডে আসলে, সেখান থেকে বাংলাদেশি ট্রাকে পণ্য ট্রান্সশিপমেন্ট করে বেনাপোল বন্দরে আনলোড করা হচ্ছিল। এসময় উভয় দেশের ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। কাজগপত্র লেনদেন ও লোড-আনলোডে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করেই কার্যক্রম চলছিল।

বেনাপোল কাস্টমস হাউস প্রতিদিন ২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে থাকে। আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় এ পর্যন্ত সরকারের ক্ষতি হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা।

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, বনগাঁ উত্তরের সাবেক এমএলএ গোপাল শেঠ ও বনগাঁ পৌরসভার মেয়র শংকর আঢ্য ডাকু পণ্য রপ্তানিতে বিরোধিতা করে কালীতলা পার্কিং থেকে পণ্যবোঝাই ট্রাক আসতে বাধা দেয়। সাধারণ তৃণমূল সমর্থকদের রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে আন্দোলন শুরু করে দেয়। বর্তমানে কালীতলা পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক হাজার ৯৮৩টি পণ্যবোঝাই ট্রাক। এসব ট্রাক থেকে বনগাঁ পৌরসভা প্রতিদিন ছোট গাড়ি ৫০ টাকা, ৬ চাকা ৮০ টাকা, ১০ চাকা ১২০ টাকা ও ট্রেলার ১৬০ টাকা হারে পার্কিং চার্জ আদায় করে থাকে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, সরকারিভাবে বা কাস্টমসের পক্ষ থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করা হয়নি। ট্রাক ড্রাইভারদের মাধ্যমে করোনা ছড়াতে পারে, এমন অজুহাতে তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ উত্তরের সাবেক এমএলএ গোপাল শেঠ ও পৌর মেয়র শংকর আঢ্য ডাকু জনগণকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে আন্দোলন করে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, ‘ভারত থেকে  দুই দিনে ১৫ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়েছে। নো-ম্যানসল্যান্ডে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধিবিধান মেনেই পণ্য ট্রান্সশিপমেন্ট করা হয়েছে। ভারতের বনগাঁ এলাকার জনগণের আন্দোলনের জন্য পণ্য আমদানি হয়নি। পেট্রাপোল বন্দর থেকে পণ্য আসলে বেনাপোল বন্দরের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago